নয়া দিল্লি: বুধবার, তথ্য ও পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, যেসব পাকিস্তানি নাগরিকরা ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছিলেন, তাদের ৭০ শতাংশ আবেদনকে এখনও ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। সাংসদ আব্দুল ওয়াহাব সংসদে জানতে চেয়েছিলেন ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে কতজন আবেদন করেছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ অবধি ভারতের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদনের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৩৫, এবং আবদেনকারীদের মধ্যে ৭ হাজার ৩০৬ ই পাকিস্তানি নাগরিক।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, বকেয়া আবদেন গুলির মধ্যে, আফগানিস্তান থেকে ১ হাজার ১৫২ টি, রাষ্ট্রহীন ৪২৮ টি, শ্রীলঙ্কা ও আমেরিকা থেকে ২২৩ টি, নেপাল থেকে ১৮৯ টি, এবং বাংলাদেশ থেকে ১৬১ টি নাগরিকত্বের আবেদনপত্র কেন্দ্রের কাছে জমা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, চিন থেকেও ১০ জন ভারতের নাগরিক হওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন। নাগরিকত্বের আবেদন পেলে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে ও খোঁজ খবর নিয়ে তবেই ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সংসদ সদস্য ড. কে কেশব রাও, ২০১৮, ২০১৯,২০২০ এবং ২০২১ সালে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন এবং খ্রিস্টান সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য প্রাপ্ত মোট নাগরিকত্বের আবেদনগুলি সংখ্যা এবং তাদের কতগুলি মঞ্জুর করা হয়েছিল সে সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, বিগত চার বছরে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের ৩ হাজার ১১৭ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের নাগরিকত্বের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। রাই জানিয়েছেন, ওই উল্লেখিত দেশগুলি থেকে মোট ৮ হাজার ২৪৪ জন নাগরিকত্বের আবেদন জানিয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, শরণার্থী সহ সমস্ত বিদেশী নাগরিকদের দ্য ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬, দ্য রেজিস্ট্রেশন অফ ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৩৯, দ্য পাসপোর্ট (ভারতে প্রবেশ) আইন ১৯২০ এবং নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫-এর ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।