PM Modi’s Review Meeting on Omicron: উদ্বেগ বাড়ছে উর্ধ্বমুখী ওমিক্রনের গ্রাফে, জরুরি বৈঠকের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

Review Meeting on Omicron: কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। নৈশ কার্ফু জারির পাশাপাশি জমায়েতের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি ও নিয়মাবলি জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

PM Modi's Review Meeting on Omicron: উদ্বেগ বাড়ছে উর্ধ্বমুখী ওমিক্রনের গ্রাফে, জরুরি বৈঠকের ডাক প্রধানমন্ত্রীর
ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসবেন প্পধানমন্ত্রী। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2021 | 2:35 PM

নয়া দিল্লি: বছর শেষেও স্বস্তি নেই, ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। করোনার নতুন ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ২০০ পার করেছে। মঙ্গলবারই কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে ওমিক্রন নিয়ে। এবার বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-ও। আগামিকাল, ২৩ ডিসেম্বর তিনি একটি পর্যালোচনা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে সরকারি সূত্রে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক(Union Health Ministry)-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩-এ। এরমধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর খোঁজ মিলেছে দিল্লি(Delhi)-তে। এদিন নতুন করে ৪ জন আক্রান্তের খোঁজ মেলায়, দিল্লিতে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র (Maharashtra), সেখানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন।

আক্রান্ত মোট ২১৩ জন রোগীর মধ্যে অধিকাংশই সম্প্রতি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ৯০ জনই আবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অ়ঞ্চলে ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এই রাজ্যগুলি হল দিল্লি (৫৭) , মহারাষ্ট্র (৫৪), তেলঙ্গনা (২৪), কর্নাটক (১৯), রাজস্থান (১৮), কেরল (১৫), গুজরাট (১৪)। জম্মু-কাশ্মীর (৩), ওড়িশা (২), উত্তর প্রদেশ (২), অন্ধ্র প্রদেশ (১), চণ্ডীগঢ় (১), লাদাখ (১), তামিলনাডু (১) ও পশ্চিমবঙ্গে (১)-ও ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

এই পরিস্থিতিতেই এবার রিভিউ বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামিকালের পর্যালোচনা বৈঠকে দেশে করোনা ও ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, পর্যাপ্ত ওষুধ, অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটর মজুত রয়েছে কিনা, তার বিস্তারিত খতিয়ান নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে আগামিদিনে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা হতে পারে, সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সচিব সহ বিভিন্ন রাজ্য়ের স্বাস্থ্য অধিকর্তারাও উপস্থিত থাকতে পারেন।

কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। নৈশ কার্ফু জারির পাশাপাশি জমায়েতের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি ও নিয়মাবলি জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ তাঁর চিঠিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় স্তরে কনটেনমেন্ট জ়োনের উপর জোর দিয়েছেন। জেলা স্তরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েছে এমন এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা যেতে পারে বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। কন্টেনমেন্ট জোনের পরিধি কতটা হবে, তা আক্রান্তের পরিসংখ্যান থেকে নির্ধারণ করা যেতে পারে বলেই তিনি জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে, যদি কোনও জেলায় গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ বা তার বেশি পজিটিভিটি রিপোর্ট ধরা পড়ে বা যদি অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন কিংবা আইসিইউ বেডের ব্য়বহার চল্লিশ শতাংশ বা তার বেশি হয়ে যায়, তবে রাজ্যগুলি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য কোভিড -১৯ বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।