বেঙ্গালুরু: দলের যুবনেতার মৃত্যুর পর বিশাল চাপের মুখে থাকা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, যদি প্রয়োজন হয় তবে তিনি রাজ্যের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে এবং কর্নাটকে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে ‘যোগী আদিত্যনাথ মডেল’ এর সাহায্য নেবেন। বিজেপি নেতা প্রবীণ নেত্তারুর খুনের ঘটনায় এখনও অবধি ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত দু’জন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া নামের একটি চরমপন্থী সংগঠনের সদস্য। বিজেপির এই যুবনেতা খুনের ঘটায় দলের একা বড় অংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছে বিজেপি শাসিত কর্নাটক সরকার। বিজেপির ছাত্র যুব সংগঠনের একের পর এক সদস্য রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুল গণ ইস্তফার রাস্তায় হেঁটেছে। তাদের দাবি, রাজ্য সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।
দলীয় নেতাদের ইস্তফায় স্বাভাবিকভাবে চাপ বাড়ছিল মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই ও তাঁর সরকারের ওপর। আজ কর্নাটের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তর প্রদেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী যোগী আদিত্যনাথই রাজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। কর্নাটকেও আমরা বিভিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রোখার চেষ্টা করছি। যদি এখন পরিস্থিতি এমন হয় এখানে যোদী আদিত্যনাথ মডেল প্রয়োগ করা হবে।”
উল্লেখ্য, বিজেপির যুবনেতা প্রবীণ নেত্তারুর মৃত্যুর ঘটনায় গোটা কর্নাটক জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ কান্নাড়ার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি নলিনকুমার কাতিলের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। স্থানীয় দুই বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে গতকালই তাদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে এই খুনের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।