তিরুবনন্তপুরম : কেরলের একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার কেরলের সাতটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করল ভারতের মৌসম ভবন (IMD)। ত্রিসূর, পালাকড়, মালাপ্পুরম, কোজ়িকোড়ে, ওয়ানাদ, কন্নৌড় ও কাসাড়াগোড় জেলায় এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামীকালের জন্য কন্নৌড় ও কাসারাগোড়ে কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। তবে অন্যান্য জেলায় আজ থেকেই ভারী ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আবহাওয়া দফতর।
এদিকের কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের অনুমান আগামী পাঁচদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে রাজ্য জুড়ে। এর সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়াও। তবে উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই কেরলের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে রাজ্যের কোনও কোনও জায়গায় স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। আপাতত আগামী দু’দিন এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না কেরলের নাগরিকরা। আগামী দু’দিন কেরলের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন মারফত সূত্রে এমটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। রাজ্য়ের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ বৃষ্টি না থামা অবধি নদী ও যেকোনও জলাশয় থেকে সাধারণ নাগিরকদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই জেলার কালেক্টরদের সঙ্গে একটি বৈঠক ডেকেছে রাজ্য সরকার। সেখানে যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্দেশ জারি করেছে। ইতিমধ্যেই কেরলে এনডিআরএফ এর পাঁচটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি মৌসম ভবনের তরফে বলা হয়েছিল, কেরলে যেখানে ১ জুন বর্ষা ঢোকে তা এবার পাঁচদিন আগেই শুরু হয়ে যাবে। এবার ২৭ মে কেরলে ঢুকতে পারে বর্ষা।
কমলা সতর্কতা কী ?
২৪ ঘণ্টায় ২০ সেমির থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হলে তাকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত বলে ধরা হয়। তখন লাল সতর্কতা জারি করা হয়। ২৪ ঘণ্টায় ৬ থেকে ২০ সেমির মধ্যে বৃষ্টিপাত হলে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়। ৬ থেকে ১১ সেমি বৃষ্টিপাতে জারি করা হয় হলুদ সতর্কতা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ ও ২০১৯ এ বন্যায় ভয়াবহ ছবি দেখেছিল কেরল। অতিবৃ্ষ্টির কারণে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কেরলবাসী। অনেক প্রাণহানিও হয়েছিল সেই বন্যায়। এবার সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন। এবং আগামী কয়েকদিন উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।