নয়া দিল্লি: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। স্বস্তিতে ক’দিন কাটতে না কাটতেই এবার ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) তৈরির অনুকূল পরিবেশও সৃষ্টি হল। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকেই আন্দামান সাগরের (Andaman Sea) উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আকারও নিতে পারে। ইতিমধ্যেই ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় হলুদ সতর্কতা (Yellow Alert) জারি করা হয়েছে ওড়িশায় (Odisha)। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ওড়িশার প্রতিবেশী রাজ্য়গুলিতেও।
বুধবারই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়, আন্দামান সাগরের উপরে ফের একটি ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপরে রয়েছে। আগামী ৬ মে-র মধ্যে আন্দামান সাগরের আশেপাশ অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণাবর্তটি ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি রয়েছে, তা ঘূর্ণিঝড়ের পক্ষে অনুকূল। যদি নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়, তবে আরও স্পষ্টভাবে পূর্বাভাস দেওয়া যাবে। ঘূর্ণাবর্তের প্রাথমিক গতিবিধি দেখে মনে করা হচ্ছে, আগামী ৮ মে-র মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। মূলত দেশের পূর্ব অংশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেই এর প্রভাব টের পাওয়া যাবে। ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশেও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়তে পারে। তবে রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কতটা প্রভাব পড়তে পারে, তা এখনও জানা যায়নি।
যেহেতু ওড়িশাতেই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল, সেই কারণে রাজ্য সরকারকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ওড়িশার মুখ্য সচিব সুরেশ চন্দ্র মহাপাত্র জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের জন্য রাজ্য সবরকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে। এখনও অবধি ঘূর্ণিঝড়ের পথ স্পষ্ট না হলেও, যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। আজ থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হচ্ছে, তাই মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়া নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।