নয়া দিল্লি: গোটা দেশই ভাসছে ভারী বৃষ্টিতে। একটানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে। এরইমধ্যে আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কোঙ্কন উপকূল ও গোয়ায়। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে ওড়িশা, পূর্ব রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, বিদর্ভ, তেলঙ্গানা, কর্নাটকের দক্ষিণ ও উপকূলবর্তী অঞ্চলেও। একাধিক জায়গায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার থাকবে। জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগঢ়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গোয়া, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক – একাধিক রাজ্য়েই একটানা বেশ কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। গুজরাট, কোঙ্কন উপকূলেও জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা। লাগাতার বৃষ্টির জেরে প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। গাছ উপড়ে গিয়ে, ভূমিধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচলও। দিনরাত উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
গুজরাটের পরিস্থিতি-
বিগত চার-পাঁচদিন ধরেই ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে গুজরাটে। এদিন সকাল থেকেও ফের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। অতি ভারী থেকে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কায় রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুরাট, তাপি, নর্মদা, রাজকোট, জামনগর সহ বহু এলাকায় জারি লাল সতর্কতা। প্লাবিত এলাকাগুলিতে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রাজ্যে প্রায় ১৮টি বাঁধ নিয়ে জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা। বন্যায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।
ভাসছে মহারাষ্ট্রও-
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের জনজীবন। কোলাপুর, পালঘর, নাসিক, পুণে, রত্নাগিরি – এই পাঁচ জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলাগুলিতে। মুম্বই, পুণে সহ বেশ কিছু জেলাতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। বন্যা ও ধস প্রবণ এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে কয়েক হাজার বাসিন্দাদের। রাজ্যজুড়ে তৈরি করা হয়েছে কয়েকশো ত্রাণ শিবির। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এখনও বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে কুণ্ডলিকা, অম্বা, সাবিত্রী, উল্লাস নদীর জল।