নয়া দিল্লি : কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থাগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আদেশ মেনে চলে, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলিকে প্রায়শই এমন অভিযোগ করতে শোনা যায়। কিন্তু, এ বিষয়ে কী বলছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? শনিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেন,রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকে রাজ্য প্রশাসনের হাতে। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনের জন্য যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিরিক্ত সাহায্য়ের প্রয়োজন পড়ে তা সরকার নিতেই পারে। প্রতিটি রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেই ব্যবস্থা রয়েছে।
এরপরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামোল্লেখ করে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী ও তদন্তকারী সংস্থার রাজনীতিকরণের প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি প্রশ্ন করেন। এর উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে একরকম কটাক্ষের সুরেই অমিত শাহ বলেন, ‘মমতাকে আমরা বোঝাতে পারব না। রাজনৈতিক কথা বলার জন্য সকলের স্বাধীনতা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রের তিন বাহিনীর তরফে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের অধীনে নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় হিংসাত্মক চেহারাও নেয় সেই প্রতিবাদ। এই সব বিক্ষোভ দমনের জন্য বা সেই বিক্ষোভ যাতে হিংসাত্মক মোড় না নেয় তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সাধারণত রাজ্য প্রশাসনের উপর। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন যদি একা হাতে তা দমন করতে ব্যর্থ হন তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য রাজ্য সরকার নিতেই পারে। রাজ্যে এমনিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন থাকে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এদিন অমিত শাহ সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য় নেওয়ার কথাও বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে চলে। এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ জবাব, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝানো যাবে না’। এরপর তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক কথা বলার জন্য সকলের স্বাধীনতা রয়েছে।’