TV9 বাংলা ডিজিটাল: প্রথম থেকেই বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব অভিযোগ করে আসছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ত্রাসের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। এবার ‘হত্যালীলা’ চালানোর অভিযোগ তুলে বাংলার (Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
বিহারে বিধানসভা ভোটে জয়ের জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ দিতে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দাঁড়িয়েই বাংলার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে বিজেপির মোকাবিলা করতে না-পেরে কিছু লোক বিজেপি কর্মীদের হত্যা করার পথ বেছে নিচ্ছে। তাদের বুঝতে হবে, হত্যালীলা চালিয়ে কখনও ভোটে জেতা যায় না।’’ মোদীর এই কথা অত্যন্তই তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মোদী বলেন, “আজ কেউ ক্ষমতায় থাকবেন, কাল অন্য কেউ। কিন্তু এইভাবে ক্ষমতা দখলে রাখতে কেউ হত্যালীলায় মেতে উঠলে, মানুষ ক্ষমা করবে না।” শেষ আড়াই বছরে একশোরও বেশি বিজেপি কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গও এদিন উত্থাপিত করেন মোদী। বলেন, “বিজেপি কর্মীদের হত্যা করে নিজেদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা সম্ভব নয়। আমি এমন ব্যক্তিদের হুঁশিয়ারি দেব না। সেই কাজ জনতা করবেই। মৃত্যুর খেলা গণতন্ত্রে চলতে পারে না।”
অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে বিহারে বিজেপির জয় গোটা দেশের রাজনীতির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে গেরুয়া শিবির যে কোনওমতে ম্যাজিক ফিগারের গণ্ডি টপকেছে, তাও পরিস্কার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে। ‘সততার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করলে জয় অবধারিত’ – মোদী যতই এই তত্ত্ব স্থাপনের চেষ্টা করছেন, ততই প্রকট হয়ে উঠছে, বিহারে তাঁদের জয় এসেছে কান ঘেঁষে আর হরিয়ানায় কোনওমতে।
তবে মোদী-শাহ জুটির পরের লক্ষ্য বাংলা হলেও, মহারাষ্ট্র থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরাও সতর্ক। কারণ মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বড় দল হয়েও ক্ষমতায় আসতে পারেনি এই জুটি। তবে সুদূর দিল্লি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য মোদীর সাবধানবাণী, “হত্যালীলা চালিয়ে কখনও ভোটে জেতা যায় না।”