উত্তরাখণ্ড: প্রতিদিন মৃতের সংখ্যা বাড়ছে উত্তরাখণ্ডে। বিশেষত চার ধাম যাত্রা চলাকালীন বহু পূণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শনিবারই আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। সরকারি হিসেব বলছে, ২৫ দিনে অন্তত ৯৯ জন পূণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে ওই রাজ্যে। কেন এ ভাবে প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, মৃত্যু এড়াতে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চার ধাম যাত্রার সব রুটে প্যারা মেডিক্যাল কর্মীও রাখা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি শৈলজা ভাট জানিয়েছেন, বয়স্ক মানুষের জন্য বিশেষভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে তাঁদের কোনও অসুবিধা না হয়। অসুস্থ বা বয়স্ক মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্য়ে ট্রেকিং করতে গিয়ে রুদ্রপ্রয়াগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন সাতজন। সেখানে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। শনিবার সন্ধ্যায় হেলিকপ্টার নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনায় পাঁচ বাঙালির মৃত্যু হয়েছে ওই উত্তরাখণ্ডেই।
জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হল হৃদরোগ। উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই শুরু হচ্ছে হৃদরোগের সমস্যা। আর এটা প্রতি বছরই ঘটে। তবে এবার মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি বলে জানা গিয়েছে। গত ৩ মে থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে। আর তারপর থেকেই আসছে একের পর এক মৃত্যুর খবর। অন্যান্য বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে চার ধাম যাত্রা- কালে, ২০১৮ সালে মৃত্যু হয়েছে ১০২ জনের, ২০১৭ সালে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বছর ৬ মাসের জন্য খুলে দেওয়া হয় চার ধাম যাত্রার পথ।
চিকিৎসকেরা বলছেন, উচ্চতা তো একটা কারণ বটেই! আর তার সঙ্গে আরও একটা কারণ হল আবহাওয়া। আচমকা আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না অনেকেই। ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ফুট উচ্চতা জুড়ে রয়েছে মন্দিরগুলি। সেখানে যাওয়ার মতো প্রয়োজনীয় পোশাক অনেকে আনছেন না বলেও মনে করছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর দাবি, অনেকের ক্ষেত্রে কোভিড একটা অন্যতম কারণ। যাঁরা ভুগেছেন তাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।