শ্রীনগর: সোমবার (১৫ অগস্ট) অন্যান্যবারের মতোই স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে জম্মু ও কাশ্মীরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসের দিন রক্তপাত ঠেকানো গেল না উপত্যকায়। বুদগাম এবং শ্রীনগর জেলায় দুটি পৃথক সন্ত্রাসবাদী হামলায় এক অসামরিক নাগরিক এবং একজন পুলিশ কর্মী আহত হলেন। দুটি হামলাতেই সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রথম হামলাটি হয় বুদগাম জেলায়। জেলার গোপালপোরা চাদুরা এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের নিক্ষেপ করা গ্রেনেডের আঘাতে, করণ কুমার সিং নামে একজন অসামরিক নাগরিক আহত হন। ঘটনাস্থলটি ঘিরে রাখা হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। আহত করণ কুমার সিংকে প্রথমে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে, সেখান থেকে তাঁকে শ্রীনগরের এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েথে কাশ্মীর পুলিশ।
এই হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় হামলা হয় শ্রীনগরে। বাটামালু এলাকায় সন্ত্রাসবাদীরা এক পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছোড়ে। এই হামলার ফলে এক পুলিশ কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। এই ক্ষেত্রেও ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।
একদিন আগেই শ্রীনগরের নৌহাট্টা এলাকায় সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে একটি সংঘর্ষ ঘটেছিল। একটি বাইকে করে এসে সাজগাড়ি পোড়ার রেডপোরা পার্কের কাছে পুলিশের একটি টহলদার বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা জবাব দেন পুলিশ কর্মীরাও। ওই ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবার এক সন্ত্রাসবাদী এবং সরফরাজ আহমেদ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছিলেন। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এদিন কাশ্মীর জোন পুলিশ টুইট করে বলেছে, “গতকাল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় আহত হওয়া পুলিশ কর্মী সরফরাজ আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। কর্তব্যের পালন করতে গিয়ে তাঁর এই সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য আমরা এই শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি।”