Indian Army: সমুদ্রের নীচে চিনকে টক্কর দিতে আমেরিকার সঙ্গে জোট বাঁধল ভারত, ট্রাইটনই কাঁপুনি ধরাবে লালফৌজের

Jun 20, 2024 | 10:56 PM

Indian Army: নৌসেনার হাতে এবার আসছে ট্রাইটন। বলতে পারেন সমুদ্রের নীচে চিনকে টক্কর দিতে আমেরিকার সঙ্গে জোট বাঁধল ভারত। মার্কিন সংস্থা ওশেন এয়ারো ও ভারতীয় সংস্থা অ্যানাড্রোন সিস্টেমস যৌথভাবে এই স্বয়ংক্রিয় জলযান তৈরি করেছে।

Indian Army: সমুদ্রের নীচে চিনকে টক্কর দিতে আমেরিকার সঙ্গে জোট বাঁধল ভারত, ট্রাইটনই কাঁপুনি ধরাবে লালফৌজের
ভয় বাড়বে চিনের
Image Credit source: Facebook

Follow Us

কলকাতা: ড্রোন বলতে আমরা সাধারণভাবে বুঝি স্বয়ংক্রিয় উড়ুক্কু যান। এখন তো যে কোনও যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার বাড়ছে। কারণ এতে মানুষের প্রাণের ঝুঁকি নেই। জলের নীচে চলতে পারে এমন ড্রোন। যাকে সাধারণভাবে বলা হয় অটোনোমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিকল। এই ধরনের জিনিস নিয়েও নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। সব দেশই করছে। কারণটা সেই একই। কনভেনশনাল সাবমেরিনে মানুষ থাকায় প্রাণের ঝুঁকি রয়েই যায়। আন্ডারওয়াটার ড্রোনে এমন আশঙ্কার জায়গাই নেই। এবার এই খাতেই বড় চমক দেখাচ্ছে  কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। নাম নীরাক্ষি। 

তথ্য বলছে, নীরাক্ষি জলের ৩০০ মিটার গভীরে চলতে পারে। শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এগিয়ে এলে বা তারা টর্পেডো ছুঁড়লে সে সঙ্গে সঙ্গে নৌসেনার কন্ট্রোল রুমে খবর দিতে পারে। জলের নীচে মাইন থাকলে তা ডিটেক্ট করতে পারে। তবে এখানেই শেষ নয়। নৌসেনার হাতে এবার আসছে ট্রাইটন। বলতে পারেন সমুদ্রের নীচে চিনকে টক্কর দিতে আমেরিকার সঙ্গে জোট বাঁধল ভারত। মার্কিন সংস্থা ওশেন এয়ারো ও ভারতীয় সংস্থা অ্যানাড্রোন সিস্টেমস যৌথভাবে এই স্বয়ংক্রিয় জলযান তৈরি করেছে। এটি জলে ভেসে চলতে পারে। জলে ডুব দিয়েও চলতে পারে। ট্রাইটনকে বলা হচ্ছে অটোনমাস আন্ডারওয়াটার অ্যান্ড সারফেস ভেহিকল। তবে এটি মূলত সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে চলবে। 

কোনও জাহাজ বা ডুবোজাহাজ আন্তর্জাতিক দরিয়া পেরিয়ে যদি ভারতের জলসীমায় ঢোকার চেষ্টা করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নৌবাহিনীকে সতর্ক করবে ট্রাইটন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই যান নজরদারি চালানোর পাশাপাশি দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করবে এবং বিপদের আঁচ পেলে পাল্টা প্রতিরোধের রাস্তা দেখাবে। যানটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে সমুদ্রের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও এটি কাজ করতে পারবে। প্রসঙ্গত, মার্কিন নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনী এই ধরনের অটোনমাস আন্ডারওয়াটার অ্যান্ড সারফেস ভেহিকল ব্যবহার করে। গত ২ বছরে ট্রাইটনের ক্ষমতা আরও বাড়ানো হয়েছে। জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরও উন্নত প্রযুক্তি। তারপর বন্ধু দেশগুলিকে এই যান বিক্রি করা শুরু করেছে আমেরিকা। মার্কিন সংস্থা ওশেন এয়ারোর দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ সামুদ্রিক অভিযান বা অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ারে ট্রাইটনের জুড়ি নেই। উদ্ধারকাজ, তল্লাশি অভিযান বা উপকূলে নজরদারি চালানোর ক্ষেত্রেও এ চ্যাম্পিয়ন। প্রাক্তন নৌসেনা কর্তাদের অনেকেই বলছেন ট্রাইটন ভারতীয় নৌসেনায় যোগ দিলে প্রতিরক্ষা তো বটেই সামুদ্রিক গবেষণার কাজেও অনেক সুবিধা হবে। সমুদ্রের নীচে তেল বা অন্যান্য খনিজ পদার্থের খোঁজ পেতেও সাহায্য করবে সে। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। 

Next Article