নয়া দিল্লি: পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তি স্থাপনে বিশ্বের প্রথম পাঁচ দেশের অন্যতম ভারত। আমাদের লক্ষ্য ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ একেবারে শূন্যে নিয়ে যাওয়া। শুক্রবার (২৮ জুলাই) জি২০-র পরিবেশ এবং টেকসই জলবায়ু মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভার্চুয়াল ভাষণে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আজ, পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তির স্থাপন ক্ষমতার দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ ৫ দেশের একটি ভারত। ২০৭০ সালের মধ্যে নেট জিরো অর্জনের লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছি। আন্তর্জাতিক সৌর জোট, সিডিআরআই-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে আমরা আমাদের অংশীদারদের সহযোগিতা করা চালিয়ে যাচ্ছি। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সুরক্ষা এবং সমৃদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে বরাবর অগ্রভাগে রয়েছে ভারত।”
Those who call Indian Christians ‘Rice Bag Converts’ are rioting to hoard rice bags in Texas! pic.twitter.com/r8df7oylHN
— Ashok Swain (@ashoswai) July 26, 2023
তিনি আরও জানান, বিশ্বে যে ৭টি ‘বিগ ক্যাট’ (বাঘ, চিতা, চিতা বাঘ, পুমা ইত্যাদি) রয়েছে, সম্প্রতি ভারতে এই প্রাণীগুলিকে সংরক্ষণের জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল বিগ ক্যাট অ্যালায়েন্স’ চালু করেছে। ‘প্রজেক্ট টাইগার’-এর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রোজেক্ট টাইগারের ফলে ভারতের বাঘের সংখ্যা দারুণভাবে বেড়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ৭০ শতাংশ বাঘের আবাসস্থল ভারত। ভারত ‘প্রোজেক্ট লায়ন’ এবং ‘প্রোজেক্ট ডলফিন’ চালুর কথাও ভাবছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সমুদ্র এবং ,সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণের উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দায়িত্বের সঙ্গে সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার করতে হবে।” ভারতের সভাপতিত্বে জি২০-র বৈঠকে টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক নীল অর্থনীতি গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন নীতি নির্ধারিত হচ্ছে বলে, জানান তিনি। পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণের অবসানের জন্য একটি কার্যকর আন্তর্জাতিক আইনী কাঠামো গঠনের জন্য জি২০ গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানান। জি২০-র পরিবেশ এবং টেকসই জলবায়ু কমিটির মন্ত্রী পর্যায়ের চতুর্থ বৈঠকটি হচ্ছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে। জি২০ গোষ্ঠীর সদস্য দেশ, অতিথি দেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৩০০ প্রতিনিধি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।