নয়া দিল্লি : মুসলিম দেশগুলির সংগঠনের বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে ডাক পেয়েছেন অল ইন্ডিয়া হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান। আর এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। ভারতের তরফে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, ‘আমরা আশা করি না যে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজের সংগঠন জঙ্গি কার্যলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলিকে প্রশ্রয় দেবে।’ উল্লেখ্য, আগামী ২৩ এবং ২৪ মার্চ মুসলিম দেশগুলির সংগঠনের বিদেশমন্ত্রীরা মিলিত হবেন পাকিস্তানে। সেই বৈঠকে পাকিস্তানের তরফ থেকে কাশ্মীর ইস্যুকে তোলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই কারণেই হুরিয়ত প্রধানকে এভাবে বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, “ভারত সরকার এই ধরনের কার্যক্রমকে অত্যন্ত গুরুতর দৃষ্টিতে দেখছে। এর লক্ষ্য সরাসরি ভারতের ঐক্যকে নষ্ট করা এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা। আমরা আশা করি না যে ওআইসি সন্ত্রাসবাদ এবং ভারত বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠনগুলিকে উত্সাহিত করবে।’
পাকিস্তানের নাম না করে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র যোগ করেছেন, “এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে ওআইসি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে এক সদস্যের রাজনৈতিক এজেন্ডা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আমরা বারবার ওআইসিকে বলেছি যাতে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এই প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগানো না হয়। কোনও সদস্যে অন্তরনিহিত স্বার্থকে অনুমতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য বারংবার আহ্বান জানিয়েছি সংগঠনকে।”
উল্লেখ্য, সর্বদলীয় হুরিয়ত কনফারেন্স (এপিএইচসি)১৯৯২ সালে গঠিত হয়েছিল। মিরওয়াইজ উমর ফারুক এর প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। এর সংবিধান কাশ্মীর ইস্যুতে সমাধানের জন্য ‘শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম’ চালানোর কথা বলে। তবে আদতে ভারত বিরোধী কাজের সঙ্গে সংগঠন লিপ্ত থাকে। এদিকে বিগত বেশ কয়েক বছরে ওয়াইসি দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মধুর হয়েছে। সৌদি আরব হোক কি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাণিজ্যিক কারণে ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির সম্পর্ক ভালো হয়েছে। পাশাপাশি, কাতার, কুয়েত, বাংলাদেশের মতো ওআইসি দেশগুলির সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক ভালো। শুধুমাত্র মালয়শিয়া বারংবার পাকিস্তানের সুর মিলিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত বিরোধী সুর চড়িয়েছে বিগত দিনে। এই আবহে ভারত চায় না যে দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে মুসলিম দেশগুলির এই সংগঠন আলোচনা করুক এবং তাতে বিচ্ছিনতাবাদ প্রশ্রয় পাক।
আরও পড়ুন : G-23 Meeting : ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার বৈঠক, রাহুল-হুডার সাক্ষাতের পরই আজাদের বাড়িত একত্রিত ‘জি ২৩’