Indian Economy: অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধিতে চিন-আমেরিকার মতো দেশকেও পিছনে ফেলল ভারত, দাবি হার্ভার্ডের গবেষণায়
Harvard study: ভারত যে অন্যদের পিছনে ফেলে এগোচ্ছে তা ভালই বোঝা যাচ্ছিল। এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাতেও তা স্পষ্ট। কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার ধাক্কা যখন এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বহু দেশ সে ভারত যেন গোটা বিশ্বের কাছেই এক নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠে এসেছে।

নয়া দিল্লি: জোরাল ধাক্কা দিয়েছিল কোভিড। কোমড় ভেঙে গিয়েছিল বিশ্বের একাধিক তাবড় তাবড় অর্থনীতির। আর্থিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে রীতিমতো কাঁপুনি ধরে গিয়েছিল প্রথম বিশ্বের একাধিক দেশের। ধাক্কা খেয়েছিল ভারতও। কিন্তু তাতে কী! দ্রুত যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত তাতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকেই। ভারত যে অন্যদের পিছনে ফেলে এগোচ্ছে তা ভালই বোঝা যাচ্ছিল। এবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাতেও তা স্পষ্ট। কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার ধাক্কা যখন এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বহু দেশ সে ভারত যেন গোটা বিশ্বের কাছেই এক নতুন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠে এসেছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেসন ফুয়ারম্যানের সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে বলছে, মহামারির পর থেকে প্রকৃত জিডিপি (Real GDP) বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মতো শক্তিমান দেশকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। সামনে এসেছে গ্রাফ। ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের তৃতীয় কোয়ার্টার পর্যন্ত যে গ্রাফ সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বাকি দেশগুলির জিডিপি যেখানে ক্রমেই নিম্নমুখী সেখানে ভারত তার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
ফুয়ারম্যানের গ্রাফ অনুযায়ী, কোভিড সব বড় অর্থনীতি মাইনাসে নেমে গেলেও ভারত দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে মাইনাস ৫ শতাংশে নেমে গেলেও ২০২২ সাল থেকে পুরোমাত্রায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। ২০২৪ সালে এই প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় +৩ শতাংশে, এবং ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে +৫ শতাংশে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ২০২০ সালে অনেক তাবড় তাবড় অর্থনীতির দেশেই জিডিপি কার্যত মাইনাসেই ছিল। ইউরোপীয় অঞ্চল যা প্রা মাইনাস ২৫ শতাংশের আশপাশে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাইনাস ৫ শতাংশ, চিনে মাইনাস ১০ শতাংশে নেমে আসে। কিন্তু পরবর্তীকালে ঘুরে দাঁড়ানোর নিরিখে দেখা যাচ্ছে ২০২৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশের মতো।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের মতে, ভারতের এই অগ্রগতির পেছনে রয়েছে শক্তিশালী ঘরোয়া চাহিদা, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ডিজিটাল কাঠামোর বিকাশ, তরুণ শ্রমশক্তি সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সরঞ্জামের রফতানির সাফল্য, এবং আইটি পরিষেবার স্থিতিশীলতা কোভিড পরবর্তী সময়ে ভারতের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করেছে।
