India Slams Asim Munir: ‘দায়িত্বজ্ঞানশূন্য’, পাকিস্তানের ‘অর্ধেক বিশ্ব ধ্বংসের’ হুঁশিয়ারি শুনে যা বলল নয়াদিল্লি
India Slams Asim Munir: সেখানেই পাকিস্তানকে 'দায়িত্বজ্ঞানশূন্য রাষ্ট্র' বলে কটাক্ষ করেছে সাউথ ব্লক। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছে, 'ওরা আসলে বাণিজ্যিক অভিসন্ধির বশে পরমাণু-হুঁশিয়ারি দিয়ে থাকে।'

নয়াদিল্লি: কয়েক মাসের ব্য়বধানেই দ্বিতীয়বার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। আর ‘স্বপ্ন-ভূমে’ পাড়ি দিতেই যেন নিজের কোটে বল পেয়েছেন তিনি। আমেরিকা থেকেই দিয়েছেন নিজের সঙ্গে অর্ধেক বিশ্বকে নিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি। তাঁর দেশ যে পরমাণু শক্তিধর, সেই কথাটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এদিন ইঙ্গিতে নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুনির বলেন, “আমরা পরমাণু শক্তিধর দেশ। যদি আমরা মনে করি যে আমরা ডুবছি, তবে আমরা অর্ধেক দুনিয়াকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে ডুবব।” কোনও একটা দেশে সফরে গিয়ে সত্যিই কি এই ধরণের হুমকি-হুঁশিয়ারি দেওয়া যায়? কূটনৈতিক মহল এখন সেই প্রশ্নটাই ছুড়ে দিচ্ছে।
ইতিমধ্য়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এমন হুঁশিয়ারি নিয়ে মুখ খুলেছে নয়াদিল্লি। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি পোস্ট করেন। সেখানেই পাকিস্তানকে ‘দায়িত্বজ্ঞানশূন্য’ রাষ্ট্র বলে কটাক্ষ করেছে সাউথ ব্লক। পাশাপাশি মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘ওরা আসলে বাণিজ্যিক অভিসন্ধির বশে পরমাণু-হুঁশিয়ারি দিয়ে থাকে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের করা মন্তব্যে ইতিমধ্যেই আমাদের দৃষ্টি করেছে। এই রকম পরমাণু-হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের বাণিজ্যের মূল ভিত্তি।’ এরপরেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। আমরা কোনও ভাবেই পারমাণবিক হুঁশিয়ারির সামনে মাথা নত করব না। উল্টে জাতি স্বার্থে ও দেশের নিরাপত্তায় আমাদের যা যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তাই নেওয়া হবে।’
Statement by Official Spokesperson⬇️ 🔗 https://t.co/aEi9bMFOHi pic.twitter.com/AGyyGNu8gv
— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) August 11, 2025
‘বন্ধু’ আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাক সেনাপ্রধানের এমন মন্তব্য হতাশাজনক বলেই মনে করে নয়াদিল্লি, বিবৃতিতে সেই কথাটাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি পড়শি দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্তার এমন মন্তব্য আন্তর্জাতিক ভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন বলেই মনে করছে ভারত। ওই বিবৃতি বলা হয়, ‘এই ধরনের মন্তব্য আসলে দায়িত্বজ্ঞানশূন্যতার পরিচয়। যা একটি রাষ্ট্রের পরমাণু নিয়ন্ত্রণের দিকে প্রশ্ন তোলে। সঙ্গে শঙ্কা তৈরি করে সামরিক বাহিনী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর মধ্যে গোপনে তৈরি হওয়া সম্পর্ক নিয়েও।’

