টেকনিক্যাল রিসেশন: একই বছরের পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা

সুমন মহাপাত্র | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Nov 21, 2020 | 11:55 AM

সব মিলিয়ে ইতিহাসে প্রথম কোনও অর্থ বর্ষের প্রথমার্ধে 'টেকনিক্যাল রিসেশন' দেখা গেলেও ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। এমনটাই আশা অর্থনীতিবিদদের।

টেকনিক্যাল রিসেশন: একই বছরের পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা
ফাইল চিত্র

Follow Us

TV 9 বাংলা ডিজিটাল: জোর ধাক্বা ভারতের অর্থনীতিতে। চলতি অর্থ বর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও সংকুচিত হচ্ছে জিডিপি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র ও অন্যান্য অর্থনীতিবিদরা এই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।

এই আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি সংকুচিত হয়েছিল ২৪ শতাংশ। জুলাই-সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকেও সম্ভাব্য প্রায় ৮.৬ শতাংশ কমবে জিডিপি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন ‘টেকনিক্যাল রিসেশন’ দেখা দিয়েছে ভারতের অর্থনীতিতে (India In Historic Technical Recession)। কোনও দেশের পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকুচিত হলে তাকে ‘টেকনিক্যাল রিসেশন’ বলে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রকাশিত ‘নাওকাস্টে’ বিশেষজ্ঞরা লিখেছেন, “ইতিহাসে প্রথম বারের জন্য ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসে টেকনিক্যাল রিসেশনের মুখে ভারত।” যদিও এখনও কোনও সরকারি তথ্য প্রকাশিত হয়নি এই বিষয়ে। ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত হবে সরকারি তথ্য।

তবে বাজার ঘুরতে বেশি সময় লাগবে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ত্রৈমাসিক থেকেই ফের জিডিপি বাড়বে ভারতের। ইতিমধ্যেই গাড়ি বিক্রি বেড়েছে। ব্যাঙ্কের লিকুইডিটি বাড়ছে। পণ্য বিক্রিও আগের থেকে বেড়েছে। তাই সামনের ত্রৈমাসিকেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে ভারতের অর্থনীতি।

আরও পড়ুন: ১১ টি আসনে মার্জিন ১,০০০-এর কম, হিলসায় ব্যবধান ১২ ভোটের, বিহার নির্বাচন যেন ‘হিচককের থ্রিলার’

করোনা অতিমারির জেরে চাকরি হারা লক্ষ লক্ষ মানুষ। মানুষের হাতে টাকা নেই। নগদ অর্থ খরচ করতে ভয় পাচ্ছে আম জনতা। পরিবর্তে সঞ্চয়ের পথে হাঁটছে। যার জেরে গত ত্রৈমাসিকে বিগত বছরের তুলনায় ব্যাঙ্কের সেভিং বেড়েছে ৭.৯ শতাংশ। কিন্তু হাল খারাপ জিডিপির। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো প্রধানমন্ত্রী অর্থনাতিকে চাঙ্গা করতে আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করতে পারেন। এই সম্ভাবনার কথাও বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে ইতিহাসে প্রথম কোনও অর্থ বর্ষের প্রথমার্ধে ‘টেকনিক্যাল রিসেশন’ দেখা গেলেও ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। এমনটাই আশা অর্থনীতিবিদদের।

Next Article