ওয়াশিংটন: গত সপ্তাহেই মার্কিন মুলুক থেকে ভারতীয় গণতন্ত্র আক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু সোমবার (৫ জুন), ভারতীয় গণতন্ত্রের ‘স্বাস্থ্য’ সম্পর্কে যাবতীয় উদ্বেগ উড়িয়ে দিল খোদ মার্কিন সরকার। ভারতীয় গণতন্ত্রকে ‘প্রাণবন্ত’ বলে শংসা দিয়ে হোয়াইট হাউসের বলেছে, ‘নয়া দিল্লিতে গেলে যে কেউ তা নিজের চোখেই দেখতে পাবেন’। চলতি মাসের শেষেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে মোদী সরকারের আমলে ভারতীয় গণতন্ত্রের ‘স্বাস্থ্য’ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আমেরিকার গণতন্ত্রকামী অ্যাক্টিভিস্টদের একাংশ। এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগ বিভাগের সমন্বয়কারী, জন কিরবি বলেছেন, “ভারত একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের দেশ। যে কেউ নয়াদিল্লিতে গেলে তা নিজের চোখে দেখতে পাবে। আশা করি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের শক্তি এবং স্বাস্থ্য আমাদের আলোচনার অংশ হবে।”
কিরবি আরও বলেছেন, ভারতীয় গণতন্ত্র নিয়ে মার্কিন সরকারের যদি কওনও উদ্বেগ থাকে, তা ভারতীয় পক্ষের কাছে প্রকাশ করতে তাঁরা পিছপা হবেন না। তিনি বলেছেন, “দেখুন, আমরা এটা প্রকাশ করতে দ্বিধা করব না। বন্ধুদের সঙ্গে কেউ তা করে না। আমাদের মনে যদি কোনও উদ্বেগ থাকে, তা বিশ্বের কারও সামনে প্রকাশ করতে আমরা কখনই সংকোচ করব না। কিন্তু, এই সরকারি সফর হল ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে সত্যিকারের গভীর, শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং বন্ধুত্বে পরিণত করার বিষয়ে। এখন আমাদের সম্পর্ক যে জায়গায় আছে, আশা করি তা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব আমরা।” ভারতকে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহুস্তরীয় শক্তিশালী অংশীদার বলে উল্লেখ করেছেন হোয়াইট হাউসের এই কর্তা। তিনি বলেছেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যেই বহু ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। প্যাসিফিক কোয়াডের অন্যতম সদস্য ভারত এবং ইন্দো-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু এবং অংশীদার।”
কিরবি আরও জানিয়েছেন, বহু কারণেই ভারত আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। শুধু ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই নয়, বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলিতেও আমেরিকার অন্যতম অংশীদার ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমেরিকায় এনে তাঁর সঙ্গে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব এবং বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।