C-295 Aircraft: সীমান্তে লাল ফৌজের সব দাপাদাপি ঘুচে যাবে, ভারতের হাতে এবার আসছে সেই ‘মহা অস্ত্র’

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Oct 30, 2024 | 2:55 PM

India-China: খাতায় কলমে লাল ফৌজের শক্তিও তো ভারতীয় সেনার চেয়ে বেশি! তবুও গালওয়ান-তাওয়াংয়ে মার খেয়ে লেজ গুটিয়ে পালাতে হয়েছে চিনা সেনাকে। সত্যি বলতে, আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রতিদিনই চিনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে ভারত। সেই তালিকায় এইবার যোগ হচ্ছে আরও মোক্ষম এক জিনিস।

C-295 Aircraft: সীমান্তে লাল ফৌজের সব দাপাদাপি ঘুচে যাবে, ভারতের হাতে এবার আসছে সেই মহা অস্ত্র
প্রতীকী চিত্র।
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

নয়া দিল্লি: ডলারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে চিনও তাদের মুদ্রা ইউয়ানকে তুলে ধরার তালে আছে। সেখানে অর্থনীতির বহরে পিছিয়ে থেকেও টাকা যদি এগিয়ে যায়, তাহলে জিনপিংয়ের রাগ হবে বই কী। খাতায় কলমে লাল ফৌজের শক্তিও তো ভারতীয় সেনার চেয়ে বেশি! তবুও গালওয়ান-তাওয়াংয়ে মার খেয়ে লেজ গুটিয়ে পালাতে হয়েছে চিনা সেনাকে। সত্যি বলতে, আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রতিদিনই চিনকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিচ্ছে ভারত। সেই তালিকায় এইবার যোগ হচ্ছে মাঝারি ক্ষমতাসম্পন্ন সামরিক পরিবহণ বিমান সি-২৯৫।

সেনার জন্য রসদ পৌঁছে দিতে ভারতের সেরা অস্ত্র গ্লোবমাস্টার। কিন্তু এই বিমান এতটাই বড় যে ওঠানামার জন্য লম্বা রানওয়ের প্রয়োজন। লাগে বিশেষ পরিকাঠামোও। তাই চিন সীমান্তের কথা মাথায় রেখে দেশের প্রয়োজন ছিল একটি মাঝারি ক্ষমতার সামরিক পরিবহণ বিমানের। সেই অভাবই এবার মিটতে চলেছে। এ মাসেই ভারতের হাতে চলে আসছে সি-২৯৫ বিমান।

২০২১-এর সেপ্টেম্বরে স্পেনের সংস্থা এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেসের সঙ্গে যৌথভাবে এই বিমান বানানোর জন্য চুক্তি হয় টাটা গোষ্ঠীর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই স্পেন থেকে প্রথম ব্যাচের বিমানগুলি চলে আসছে।

পরের ধাপে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস লিমিটেড ভারতেই এই বিমান তৈরি করবে। সবমিলিয়ে ৫৬টি বিমানের জন্য এয়ারবাসের সঙ্গে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি রয়েছে। ৪০টি বিমান স্পেনে তৈরি হবে। বাকিগুলো ভারতে। প্রথম দফায় পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ, পরীক্ষামূলক উড়ান- সবই সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। বাকি শুধু বিমানগুলির বাহিনীতে কমিশনড হওয়া।

সি-২৯৫ বিমান ছোট রানওয়েতে ওঠানামা করতে পারে। এটিকে নজরদারির কাজেও ব্যবহার করা যায়। ফলে লাদাখ-সিকিম বা অরুণাচলে এলএসি বরাবর দুর্গম ঘাঁটিগুলিতেও এবার সহজে অস্ত্র-রসদ পৌঁছে দিতে পারবে বায়ুসেনা। চিনা ফৌজের আগ্রাসনের আশঙ্কা দেখা দিলেই ফরওয়ার্ড পোস্টে দ্রুত পৌঁছে যাবে বাড়তি বাহিনী। আহত বা অসুস্থ সেনাদের তাড়াতাড়ি নামিয়ে আনাও যাবে। ওপারে চিন যেভাবে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে তাতে আমাদেরও তৈরি না থেকে উপায় নেই।

Next Article