রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সুসম্পর্ক থাকলেও, সাধারণত ক্রুড তেল কেনে না ভারত। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের সঙ্কট দেখা দেয়। হু হু করে বাড়তে থাকে তেলের দাম। এদিকে, ইউক্রেনের উপরে হামলা চালানোর ‘শাস্তি’ দিতেই ব্রিটেন, আমেরিকা সহ একাধিক দেশ রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পশ্চিমী দেশগুলি নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর, বাণিজ্য জারি রাখতে তেলের দামে ব্যপক ছাড় দেয় রাশিয়া। সেই সুযোগেই রাশিয়ার থেকে ক্রুড তেল কেনা শুরু করে ভারত। বর্তমানে চিনের পর ভারতই রাশিয়ার ক্রুড তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা। কিন্তু রাশিয়া হঠাৎ করেই ক্রুড তেলের দাম বাড়ানোয় এবার আমদানিতে রাশ টানতে চলেছে ভারত।
তৈল উৎপাদক সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার কাছে আগে ক্রুড তেল সস্তায় পাওয়া গেলেও, বর্তমানে হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মুরবানে তেলের দামের তুলনায় রাশিয়ার ইএসপিও ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৫ থেকে ৭ ডলার বেশি পড়ছে। এই কারণেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার বদলে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আফ্রিকার তেলের গুণমানও রাশিয়ার তুলনায় ভাল বলেই জানানো হয়েছে।
শুধু আফ্রিকাই নয়, মধ্য প্রাচ্যের ব্রেন্ট তেলের দামের ব্যবধানও অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে দুবাই থেকেও তেল কিনবে ভারত। উল্লেখ্য, গতকালই রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতও সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, তেলের যথাযথ দাম না মিললে, বিশ্ব বাজারে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।