Indian Army: ‘মুরগির গলায়’ ড্রোন বেঁধে দিল ভারতীয় সেনা, এবার খেল খতম বাংলাদেশি জঙ্গিদের?
Indian Army: জঙ্গিদের কাছে 'সফ্ট টার্গেট' এই চিকেন্স নেক। এই এলাকাকেই ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করে ভারতে নিজেদের জাল বিস্তার করে থাকে পাক ও বাংলাদেশি জঙ্গিরা। বছরের পর বছর চিকেন্স নেক ধরেই দেশের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে চলেছে সন্ত্রাসবাদীরা। এবার সেই রুটকেই রুখে দিল সেনা।
কলকাতা: দেশে জঙ্গিদের অবাধ বিচরণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। বাংলার চিকেন্স নেকে নিরাপত্তা বাড়াল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। চিকেন্স নেককে সুরক্ষিত রাখতে UAV ড্রোন মোতায়েন করল ভারতীয় সেনা।
জঙ্গিদের কাছে ‘সফ্ট টার্গেট’ এই চিকেন্স নেক। এই এলাকাকেই ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করে ভারতে নিজেদের জাল বিস্তার করে থাকে পাক ও বাংলাদেশি জঙ্গিরা। বছরের পর বছর চিকেন্স নেক ধরেই দেশের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে চলেছে সন্ত্রাসবাদীরা। এবার সেই রুটকেই রুখে দিল সেনা।
সূত্রের খবর, হাসিমারা এবং উত্তর বঙ্গের একাধিক বায়ু সেনা ঘাটি থেকে মোতায়েন করা হচ্ছে হেরন এবং নয়া প্রযুক্তির UAV। দিন কয়েক আগে বাংলাদেশের সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের আভাস পেয়েছিল ভারতীয় সেনা। আর তারপরই এই বিরাট পদক্ষেপ। সীমান্ত নজরদারিতে প্রাথমিক ভাবে ব্য়বহার করা হবে এই নজরদারি ড্রোন।
সম্প্রতি,মেঘালয় সীমান্তে বাংলাদেশের তেজগাঁও বিমান ঘাঁটি থেকে নিয়ন্ত্রিত তুরস্কের বানানো TB 2 ড্রোনের সিগন্যাল পায় ভারতীয় সেনা। আর তার প্রত্যুত্তরেই নিজেদের নজরদারি ড্রোন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। প্রাথমিকভাবে নজরদারির কাজ করে থাকলেও, প্রয়োজনে যে কোনও প্রকার হামলা রোখার ক্ষমতা আছে ভারতের মোতায়েন করা এই ড্রোনগুলির।
ভৌগলিক দিক চিকেন্স নেকের গুরুত্ব সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কাছে অপরিসীম, তা বেশ জানে ভারত। সেই কারণেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কমাতে এই এলাকাকেই সুরক্ষিত করতে তৎপর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটা পালাবদলের পর থেকেই চিন্তা বেড়েছে সীমানারক্ষা নিয়ে। দেশজুড়ে বাড়ছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। বাংলাকে ট্রানজিট রুট করে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে একাধিক জঙ্গি। তাদের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেও বেশ কয়েকজন। গতকাল ক্যানিং থেকে গ্রেফতার হয় কাশ্মীরি জঙ্গি। এর আগে কেরলে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হয় এক ব্যক্তি। যার আবার পরিচয়পত্রে ঠিকানা বাংলার মুর্শিদাবাদের।