Railway: এবার চিন সীমান্ত পর্যন্ত চলবে ট্রেন, ৪৪ হাজার কোটি খরচে তৈরি হচ্ছে ১৭০ কিমি রেলপথ

Nov 22, 2024 | 9:38 PM

Railway: রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, পিথোরাগড় জেলার হিমালয় পার্তব্য এলাকায় মোটি পাঁচটি পাস রয়েছে। রয়েছে লুম্পিয়া ধুরা, লেভিধুরা, লিপুলেখ, উনতা জয়ন্তী এবং দরমা পাস। এগুলো সবই পাঁচ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় অবস্থিত।

Railway: এবার চিন সীমান্ত পর্যন্ত চলবে ট্রেন, ৪৪ হাজার কোটি খরচে তৈরি হচ্ছে ১৭০ কিমি রেলপথ
ভারতীয় রেল
Image Credit source: twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি: এবার ভারতীয় রেল পৌঁছে যাবে প্রায় চিন সীমান্তে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ। শীঘ্রই ভারতীয় রেল উত্তরাখণ্ডের ওপর দিয়ে চিন সীমান্ত পর্যন্ত চালাবে ট্রেন। চম্পাবত জেলার টানাকপুর থেকে বাগেশ্বরের মধ্যে নির্মিত হবে এই রেলপথ। ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইনের জরিপের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এই রেললাইনটি যাবে হিমালয় পর্বতমালার পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে। চিন সীমান্তের কাছে পিথোরাগড় ও বাগেশ্বর পর্যন্ত যাবে রেলপথ।

রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন এই রেললাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পিথোরাগড় জেলা শুধু চিন নয়, নেপালের আন্তর্জাতিক সীমান্তের সঙ্গেও যুক্ত। আর টনকপুর হল ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী একটি এলাকা। এটাই উত্তরাখণ্ডের নেপাল সীমান্তে ভারতের শেষ রেলওয়ে স্টেশন। এই রুটে সমীক্ষার পাশাপাশি পিলার বসানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।

রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, পিথোরাগড় জেলার হিমালয় পার্তব্য এলাকায় মোটি পাঁচটি পাস রয়েছে। রয়েছে লুম্পিয়া ধুরা, লেভিধুরা, লিপুলেখ, উনতা জয়ন্তী এবং দরমা পাস। এগুলো সবই পাঁচ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। ফলে সেখানে দ্রুত পৌঁছনোও যেমন কঠিন, তেমনই সেনাবাহিনীর পক্ষে মালপত্র নিয়ে যাওয়াও বেশ কঠিন। সড়কপথে টানাকপুর থেকে পিথোরাগড় হয়ে চিন সীমান্ পৌঁছতে গেলে সময় লেগে যায় প্রায় ১৬ ঘণ্টা। নতুন রেললাইন বসানোর পর দু থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছনো যাবে বলে দাবি করছে রেল।

১৮৮২ সালে ব্রিটিশরা প্রথম টনকপুর-বাগেশ্বর রেললাইনের সমীক্ষা করেছিল। সেই পরিকল্পনার ম্যাপ ধরেই নতুন করে জরিপ করা হয়েছে। প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৬৯.৯৯ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনের জন্য খরচ হবে আনুমানিক প্রায় ৪৪১৪০ কোটি টাকা। মোট ৪৫২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এর জন্য। মোট ৬৫টি টানেলের মধ্য দিয়ে যাবে সেই রেল লাইন। পূর্ণগিরির কাছে সবচেয়ে বড় টানেলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ কিলোমিটার। লাইনের মাঝে থাকবে ১৩৫টি সেতু। গত ১৮ এপ্রিল থেকে টনকপুর থেকে জরিপের কাজ শুরু হয়েছে।

Next Article