আহমেদাবাদ: সময়ে ট্রেন না-আসা। স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা। ভারতীয় রেলযাত্রীদের কাছে এটা সাধারণ ব্যাপার। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্রেনে চড়েন। স্টেশনে গিয়ে সময়মতো ট্রেন না-পাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখেন যাত্রীরা। কিন্তু, ট্রেন দেরি হওয়ার জন্য যদি রেল আপনাকে ক্ষতিপূরণ দেয়। ভাবছেন, তা আবার হয় নাকি। সত্যিই হয়। এমনই হয়েছে গুজরাটে। দুই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রেলকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন। তিন ঘণ্টার বেশি ট্রেন দেরি করায় রেলকে ৭০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলল কমিশন। একইসঙ্গে টিকিটের দামের সঙ্গে ৯ শতাংশ সুদ যোগ করে টাকা দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২২ সালের ২০ অগস্ট। ২ অভিযোগকারী পেশায় আইনজীবী। তাঁরা জানান, আহমেদাবাদ আদালতে তাঁদের একটি মামলা ছিল। উজ্জ্বয়ন থেকে আহমেদাবাদ আসার জন্য কলকাতা-আহমেদাবাদ এক্সপ্রেসে টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা। দু’জনের টিকিটের দাম পড়েছিল ৩ হাজার ৩০০ টাকা। স্টেশনে তিন ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করার পরও ট্রেন আসেনি। এরপর বাধ্য হয়ে তাঁরা শান্তি এক্সপ্রেসে জেনারেল কামরায় টিকিট কাটেন। একেকটি টিকিটের দাম ১৫০ টাকা। অভিযোগকারীরা জানান, শান্তি এক্সপ্রেসে সাত ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে তাঁদের। যা মানসিক নির্যাতনের সমান। আবার শারীরিক ধকল সইতে হয়েছে।
দুই আইনজীবী ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন রেলের কাছে। টিকিটের ৩ হাজার ৩০০ টাকাও ফেরতের দাবি জানান। জেলা ক্রেতা সুরক্ষা কমিশন রেলকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭ হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে ৫ হাজার টাকা মানসিক নির্যাতন সইতে হওয়ায় এবং ২ হাজার টাকা মামলার খরচের জন্য। একইসঙ্গে টিকিটের ৩ হাজার ৩০০ টাকার উপর ৯ শতাংশ সুদ যোগ করে টাকা দিতে বলেন।
ট্রেন আসতে অতিরিক্ত দেরি করলে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন যাত্রীরা। আইন অনুসারে, ট্রেন তিন ঘণ্টার বেশি দেরি করলে টিকিট বাতিল করে সম্পূর্ণ দাম ফেরত পাবেন যাত্রী। তবে রিফান্ড পেতে TDR ফাইল করতে হবে যাত্রীকে। অন্যদিকে, ট্রেন দেরি হওয়ায় কোনও যাত্রীর বড় কোনও ক্ষতি হলে তিনি ক্ষতিপূরণের দাবি জানাতে পারেন।