নয়া দিল্লি: ভারতের পর বিদেশে পড়াশোনা। অনায়াসেই চাকরিও পেয়ে গিয়েছিলেন। মার্কিন মুলুকে মোটা বেতনের চাকরিও করেছেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন, ভারতে স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস কতটা জরুরি? মিলেটের মতো খাদ্যশস্য যে মানুষের জন্য কতটা উপকারী হতে পারে, সেটা বোঝাতেই কাজ করে যাচ্ছেন বিশিষ্ট খাদ্য বিশেষজ্ঞ ড. খাদার ওয়াল্লি (Khadar Valli)। প্রায় দু দশক ধরে খাদ্যশস্য নিয়ে কাজ করছেন তিনি। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পদ্ম পুরস্কারের তালিকায় উঠল তাঁর নাম। তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ (Padma Shri) সম্মানে ভূষিত করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে কেউ কেউ তাঁকে ভারতের ‘মিলেট ম্যান’ বলেও অভিহিত করে থাকে।
ড. ওয়াল্লির মূল উদ্দেশ্য ছিল, মানুষকে খাদ্যশস্যের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা বোঝানো। দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। সুষম খাবার না পেলে মানুষের কী কী সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করেন তিনি। সেই সময় জানতে পারেন এক নাবালিকার কথা। মাত্র ৬ বছর বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর সেই ঘটনা চমকে দিয়েছিল তাঁকে। তারপরই চাকরি ছেড়ে ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মাইসোরে ফিরে স্বাস্থ্যকর সমাজ গড়ে তোলার শপথ নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।
খাদার ওয়াল্লি একজন স্বাধীন খাদ্য গবেষক। হারিয়ে যাওয়া খাদ্যশস্য নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। বিশেষত মিলেটের চাষ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপ্পা জেলায় জন্ম খাদার ওয়াল্লির। মাইসোর থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। বেঙ্গালুরু থেকে পিএইচডি করার পর পরিবেশ নিয়ে পোস্ট ডকটরাল ডিগ্রি পেতে বিদেশে পাড়ি দেন তিনি। পরে ভারতে সেন্ট্রাল ফুড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কাজ শুরু করেন তিনি। ভারতে কাজ করার পর আমেরিকায় চাকরিতে যোগ দেন। সেখানে ৪ বছর কাজ করার পর ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। খাদ্য বা কৃষি বিশেষজ্ঞ হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন হোমিওপ্যাথি বিশেষজ্ঞও। খাদ্যশস্য থেকে ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রেও গবেষণা রয়েছে তাঁর।