শ্রীনগর: নিরাপত্তা বাহিনীর একাংশ মনে করছে, কাশ্মীর আগের থেকে অনেকটাই শান্ত। জঙ্গি হামলা বা অনুপ্রবেশের ঘটনাও কমেছে লক্ষ্যণীয়ভাবে। কিন্তু তার মানেই যে নিশ্চিন্ত হওয়ার সময় এসেছে তা নয়। বিশেষত দুই জেলাকে চিহ্নিত করেছেন গোয়েন্দারা, যেখানে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা বাড়ছে। তাই বাহিনী মোতায়েন করার ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নেওয়ার কথা ভাবছে সেনাবাহিনী। কাশ্মীরের লেফট্যানেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জানিয়েছেন, সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কৌশল বদলাচ্ছে উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে।
মূলত পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলাকেই ঝঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তাই ওই অঞ্চলে বাড়ানো হতে পারে নিরাপত্তা। সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন যদি একদল জঙ্গির অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে আর এক দলের অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। তিনি জানান, পাকিস্তানের কৌশল খুব স্পষ্ট। যতজন জঙ্গিকেই গুলি করা হোক না কেন, আরও বেশি জঙ্গি পাঠানো হবে। আর ওই দুই অঞ্চলে উপত্যকতায় প্রবেশ করা অপেক্ষাকৃত সহজ বলেও মনে করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ২০২১-এর ১ অক্টোবর থেকে তিন অফিসার সহ ২৬ জন সেনাকর্মী, পাঁচজন প্যারাট্রুপার, সাতজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরে। বারবার জঙ্গিরা অনুপ্রবেশে ব্যর্থ হওয়ার পর তারাও এবার রণকৌশল বদলাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে মানবাধিকার কমিশনও। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে রাজৌরি ও পুঞ্চের দিকে ক্রমশ নজর বাড়ছে জঙ্গিদের।
উল্লেখ্য, চিন সীমান্তে গালোয়ানে সংঘর্ষের পর থেকে কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় কিছুটা কমেছে সেনাবাহিনীর বহর। আর সেই সুযোগকে হাতিয়ার করে জঙ্গিরা তাদের কার্যকলাপ বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।