MSME sector: ভারতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের অন্যতম উদাহরণ আইএএস বিক্রান্ত: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 18, 2022 | 6:33 PM

MSME sector: আইএনএস বিক্রান্ত-এর উদাহরণ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "দেশের অগ্রগতিতে MSME সেক্টরের অবদান সম্পর্কে প্রতিটি ভারতবাসী অবগত।"

MSME sector: ভারতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের অন্যতম উদাহরণ আইএএস বিক্রান্ত: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভানু প্রতাপ সিং ভার্মা

Follow Us

মুম্বই: ভারতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নের অন্যতম নজির হল আইএএস বিক্রান্ত। মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত Dare to Dream পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনই দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (MSME) মন্ত্রী ভানু প্রতাপ সিং ভার্মা। তিনি বলেন, “দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমান হল আইএনএস বিক্রান্ত।”

জানা গিয়েছে, এদিন TV9 নেটওয়ার্ক আয়োজিত ডেয়ার টু ড্রিম অ্যাওয়ার্ডস ২০২২-এর প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (MSME) মন্ত্রী ভানু প্রতাপ সিং ভার্মা। তিনি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুরস্কার বিজেতাদের আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলতে গিয়ে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (MSME) বিশেষ অগ্রগতির হয়েছে বলে দাবি জানান। এপ্রসঙ্গে আইএনএস বিক্রান্ত-এর উদাহরণ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “দেশের অগ্রগতিতে MSME সেক্টরের অবদান সম্পর্কে প্রতিটি ভারতবাসী অবগত। MSME সেক্টর দেশের অগ্রগতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়, তার অন্যতম উদাহরণ হল আইএনএস বিক্রান্ত।”

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই আইএনএস বিক্রান্ত-কে অনুমোদন পেয়েছে। এটি তৈরির ক্ষেত্রে শতাধিক MSME শিল্পের অবদান রয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর। ভার্মা আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ ও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ গড়ে তুলতে এবং ভারতকে “বিশ্বের উজ্জ্বল অর্থনীতির” দেশগুলির একটি করে তুলতে MSME সেক্টর অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে ভারতে MSME সেক্টরের মোট কর্মী সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি এবং ভারতের জিডিপি-র এক-তৃতীয়াংশ অবদান রয়েছে এই ক্ষেত্রের। তাই বলা যায়, ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হল, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প।

গোটা বিশ্বের সঙ্গে ভারতও যখন করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করছিল, তখনও কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিশেষ অবদান ছিল বলে দাবি ভানু প্রতাপ সিং ভার্মার। তাঁর কথায়, “করোনা অতিমারি যখন চরম স্তরে পৌঁছেছিল, তখন ওই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিশেষ সাহায্য করেছিল। যখন ঠিকমতো হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের শ্রমিকেরা প্রচুর পরিমাণে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক উৎপাদন করে এবং মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের নাগরিকদের বিশেষভাবে সাহায্য করে।” যদিও মহামারীর প্রথমদিকে কিছু কুটির শিল্পের ব্যবসায়ী কর্মীদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছিলেন না। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম (ECLGS)-এর অধীনে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জন্য ৩ লাখ কোটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর সেই প্যাকেজ বিফলে যায়নি। তারপরই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রচুর পরিমাণে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক উৎপাদন করে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রশংসা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী ভানু প্রতাপ সিং ভার্মা।

Next Article