Covid Vaccine: ছাড়পত্র পেল ন্যাজাল ড্রপ কোভিড ভ্যাকসিন

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Nov 26, 2022 | 7:00 AM

অনেকেই ইঞ্জেকশনে ভয় পান। যার ফলে কোভিড ভ্যাক্সিন নেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকের মধ্যে অনীহা দেখা যায়। তবে ন্যাজাল ভ্যাক্সিন অনুমোদন পাওয়ায় ইঞ্জেকশনে ভীতরা অনেকটাই যে স্বস্তি পেলেন।

Covid Vaccine: ছাড়পত্র পেল ন্যাজাল ড্রপ কোভিড ভ্যাকসিন
ভারত বায়োটেকের কোভিড ভ্যাকসিন 'ইনকোভ্যাক'

Follow Us

নয়া দিল্লি: কোভ্যাক্সিনের পর এবার অনুমোদন পেল ভারত বায়োটেকের কোভিড-১৯ বুস্টার ডোজ, ন্যাজাল ভ্যাক্সিন। ড্রাগস ক্ন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই) শুক্রবারই আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য কোভিড-১৯ বুস্টার ডোজ, ন্যাসাল ভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিয়েছে। আনুনাসিক কোষের মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে এই ভ্যাক্সিন বিশেষ কার্যকর বলে দাবি ভারত বায়োটকের।

ভারত বায়োটেক প্রস্তুত কোভিড-১৯ বুস্টার ডোজ, ন্যাজাল ভ্যাক্সিনটির নাম হল ইনকোভ্যাক (iNCOVACC)। এটিই ভারতে প্রস্তুত প্রথম ন্যাসাল ভ্যাকসিন। অর্থাৎ আর ইঞ্জেকশন নিতে হবে না, নাকে ড্রপ দেওয়ার মাধ্যমে কোভিড প্রতিশেধক শরীরের ভিতর প্রবেশ করবে। তবে সকলের জন্য এই ভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি, কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই জরুরি ভিত্তিতে বুস্টার ডোজ, ন্যাসাল ভ্যাক্সিন ইনকোভ্যাক-কে অনুমোদন দিয়েছে ডিজিসিআই। এই নিয়ে তৃতীয় কোভিড ভ্যাক্সিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পেল। এর আগে করোনা প্রতিষেধক হিসাবে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল ড্রাগস ক্ন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিজিসিআই)।

কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ডের মতো ন্যাজাল ভ্যাক্সিন ইনকোভ্যাক-এর দুটি ডোজ নিতে হবে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পর দ্বিতীয় ডোজটি নিতে হবে। তবে অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় ন্যাজাল ভ্যাক্সিন ইনকোভ্যাক কোনও অংশে কম নয় বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ChAd-SARS-CoV-2-S ভাইরাসগুলি মূলত নাকের মধ্য দিয়েই শরীরের ভিতর প্রবেশ করে। তাই ন্যাসাল ভ্যাক্সিন ইনকোভ্যাক এই সমস্ত ভাইরাস ঘটিত রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে এবং ভাইরাসকে শরীরের ভিতর প্রবেশ করতে বাধা দিতে পারবে।

প্রসঙ্গত, অনেকেই ইঞ্জেকশনে ভয় পান। যার ফলে কোভিড ভ্যাক্সিন নেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকের মধ্যে অনীহা দেখা যায়। তবে
ন্যাজাল ভ্যাক্সিন অনুমোদন পাওয়ায় ইঞ্জেকশনে ভীতরা অনেকটাই যে স্বস্তি পেলেন, তা বলা বাহুল্য।

Next Article