নয়া দিল্লি: ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলন দু’মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেছে। বিক্ষোভকারীদের চাপের মুখে অবশেষে সেখানে এক ধাপ পিছু হটেছে প্রশাসন। সম্প্রতি সেখানে ‘নীতি পুলিশি’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে ইরানের এক প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে হিজাব বিরোধী আন্দোলন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তা বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে ভারতে সেইভাবে প্রভাব না পড়লেও দেশের একাধিক জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিবাদ দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার ইরানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জন্য দেশের ভাণ্ডারে প্রভাব পড়তে চলেছে। সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী,ভারত থেতে বাসমচতী চাল ও চা আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে ইরান।
ইরান সাধারণত ভারত থেকে বাসমতী চাল ও চা আমদানি করে থাকে। কিন্তু ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহ থেকে সেদেশ বাসমতী চাল ও চা আমদানির জন্য ভারতের সঙ্গে আর নতুন করে কোনও চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। এই হঠাৎ আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার পিছনে ইরানের ক্রেতাদের থেকে কোনও স্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি। তবে ভারতের রফতানিকারকদের মতে, ইরানে হিজাব-বিরোধী আন্দোলনের কারণে সেখানে হোটেল, দোকানপাট, বাজার বন্ধ রয়েছে। ফলে বর্তমানে সেখানে এই দুটি জিনিসের চাহিদাও কমেছে বলে অনুমান তাঁদের। আরেক দল ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, নয়া দিল্লি ও তেহরান টাকারপ বিনিময়ে ব্যবসার বন্দোবস্তের একটি চুক্তি করছে। সেই চুক্তির কারণেই আপাতত ইরানের আমদানিকারকরা ভারত থেকে সামগ্রী কেনা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে।
তবে এই কারণে সাময়িকভাবে এই সামগ্রীর রফতানির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে চায়ের রফতানির ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়বে। কারণ ভারত থেকে ইরান প্রায় ৩ থেকে ৩.৫ কোটি কেজি চা ও ১৫ লক্ষ কেজি বাসমতী চাল আমদানি করে।