শ্রীনগর: বিগত কয়েক বছরে বদলে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের চেহারা। চলছে ব্যাপক উন্নয়নযজ্ঞ। সেটাই কি গলার কাটা হয়ে বিঁধছে জঙ্গিদের? জম্ম-কাশ্মীরে এক চিকিৎসক ও ছয় পরিযায়ী শ্রমিককে হত্যার পিছনে এটাই কারণ বলে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে অভিযান।
রবিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের সোনমার্গ-গান্ডেরবাল টানেল প্রকল্পের কাছে হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলিতে মৃত্যু হয় এক চিকিৎসক ও ছয়জন পরিযায়ী শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, এরা সকলেই ওই সুড়ঙ্গ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গতকাল রাতে সুড়ঙ্গের কাজ সেরে ক্যাম্পে ফেরেন তারা। হঠাৎই কমপক্ষে দুইজন জঙ্গি চড়াও হয় এবং এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। নিহতদের মধ্যে তিন শ্রমিকের বাড়ি বিহারে, একজন মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে।
এবার প্রশ্ন উঠছে, ভোট মিটতেই কেন ফের জঙ্গিদের নিশানায় সাধারণ মানুষ? সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন-যজ্ঞকেই ভাল চোখে দেখছে না জঙ্গিরা। দীর্ঘ সময় ধরে বন্দুকের নলে যেভাবে কাশ্মীরকে শাসন করেছে জঙ্গিরা, তা মোদী জমানায় অনেকটাই বন্ধ হয়েছে। লাগাতার জঙ্গি দমন অভিযানও চলছে।
যে সুড়ঙ্গের কাছে রবিবার রাতে হামলা হয়, সেই সোনমার্গ-গান্ডেরবাল সুড়ঙ্গ ২ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা খরচে তৈরি করা হচ্ছে। এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে শ্রীনগর-লেহ-র মধ্যে যাতায়াতে সময় কম লাগবে। এর ফলে কাশ্মীরের পর্যটনের ব্যাপক উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা। সবমিলিয়ে ২৫ হাজার কোটিতে ১৯টি টানেলের কাজ চলছে কাশ্মীরে।এই উন্নয়ন-যজ্ঞ আটকে দেওয়ার ছক জঙ্গিদের, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।
সোনমার্গ ও গান্ডেরবালের মধ্যে সংযোগকারী সুড়ঙ্গ এটি।
এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে, সারা বছর কাশ্মীরের সঙ্গে কার্গিলের যোগাযোগ রাখা যাবে।
প্রবল শীতেও সহজে নিয়ন্ত্রণ রেখায় নজরদারি করতে যাতায়াতের সুবিধা হবে সেনাবাহিনীর।
জানা গিয়েছে, হামলাকারী জঙ্গিরা সম্ভবত পড়শি দেশ, পাকিস্তান থেকেই এসেছিল। তাদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।