নয়া দিল্লি: শুক্রবার ভারতের নয়া তথ্য প্রযুক্তি নিয়মে (IT Rules) পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই আইনের অধীনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি প্যানেল তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে টুইটার ও ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির দ্বারা বিভিন্ন বিষয়বস্তু (Content) নিয়ন্ত্রণ ও সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার ক্ষমতা থাকবে সরকার নিযুক্ত এই অভিযোগ আপিল কমিটি (Grievance Appellate Committees)-র কাছে। তিনজন সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে বেশ কিছু নিয়ম-নীতি কার্যকর থাকে। এবার সেই বিধি লঙ্ঘন করে যদি কোনও ব্যবহারকারী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেন তাহলে সেই পোস্ট সরিয়ে দেওয়ার বিধি রয়েছে। তবে কোনও সংস্থা যদি সেই পোস্ট সরিয়ে দিতে অস্বীকার করে তাহলে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে এই প্যানেলের কাছে আবেদন করা যাবে। সেই মর্মে এই কমিটির নির্দেশ মানতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে।
এই নয়া আইটি নিয়ম অনুযায়ী, তিন মাসের মধ্যে গ্রিভান্স আপিল কমিটি গঠন করা হবে। যেকোনও ব্যক্তিই এই কমিটির কাছে নিজের অভিযোগ নিয়ে আসতে পারেন। আর কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। তারপর প্যানেল সংশ্লিষ্ট পোস্ট নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানানোর পরই সেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই অভিযোগ স্বীকার করতে হবে এবং ৭২ ঘণ্টা থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সেই অভিযোগের সমাধান করতে হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে আইটি নিয়ম নিয়ে একাধিক বিতর্ক বেঁধেছে। এই নিয়ে ফেসবুক, গুগল, টুইটারের সঙ্গে সংঘাতও বেঁধেছিল কেন্দ্রের। নয়া আইটি নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে ভারতের সার্বভৌমত্ব আইন মেনে চলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে জানানো হয়েছে, এক বা একাধিক প্যানেল গঠন করা হতে পারে। এবং তা তিনমাসের মধ্যেই করা হবে। প্রতিটি আপিল কমিটিতে তিনজন করে সদস্য থাকবেন। একজন চেয়ারপার্সন ও দু’জন স্থায়ী সদস্য থাকবেন এই কমিটিতে। সবাইকেই নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।