Nadda Attacks Congress : সন্ত্রাসবাদীদের ‘বন্ধু’ কংগ্রেস, রাহুল-সনিয়াদের ‘অল-আউট’ আক্রমণে নাড্ডা
'কংগ্রেস আদপে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। মুখে যা বলে কাজে তা করে না। ওরা সন্ত্রাসীদের আড়াল করে সর্বদাই'। কর্নাটকের জনসভা থেকে এই ভাষাতেই রাহুল সনিয়াদের তোপ দাগেন জে পি নাড্ডা।
কর্নাটক : রাম নবমী থেকে শুরু করে হনুমান জয়ন্তী, সাম্প্রদায়িক হিংসার অভিযোগ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। একযোগে বিবৃতি জারি করে দেশবাসীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছে সনিয়া-মমতা সহ বিরোধী শিবিরের ১৩ নেতা-নেত্রী। এবার পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জেপি নাড্ডা (BJP all-India secretary JP Nadda)। রবিবার কর্নাটকের (Karnataka) বিজয়নগরের একটি জনসভায় এই ইস্যুতে তুলোধনা করলেন কংগ্রেসের(Congress)। প্রসঙ্গত আগামী বছরই বিধানসভা ভোট রয়েছে কর্নাটকে। হাতে বর্তমানে এক বছরের কাছাকাছি সময় থাকলেও এখন থেকেই নির্বাচনী উত্তাপে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজ্যের রাজনৈতিক ময়দান। আসন্ন ভোটকে পাখির চোখ করেই এখন থেকেই তাই কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারাম্মাইয়া শিবিরকে ‘অল আউট’ আক্রমণে নামলেন নাড্ডা।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস আমলে কর্নাটকের মাটিতে দাঁড়িয়ে বারেবারেই সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) বিরুদ্ধে। পিএফআই-র একাধিক কর্মীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারাম্মাইয়াকে। রবিবারের জনসভা তা নিয়েও সরব হন নাড্ডা। নাড্ডার দাবি, ‘কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুখে কথা বললেও, বাস্তবের মাটিতে তারা সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়’। এদিন নাড্ডা আরও বলেন, ‘আপনারা সবাই দেখেছেন রাম নবমীর শোভা যাত্রায় আক্রমণের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু এই সমস্ত ঘটনা থেকেই বুঝতে পারছেন কীভাবে আজ সমাজকে দু-ভাগে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস আজ সবথেকে দায়িত্বহীনের মতো অবস্থান নিচ্ছে’।
সিদ্দিরাম্মাইয়ার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে নাড্ডা আরও বলেন, ‘পিএফআই কর্মীদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠার পরেও তাদের ছাড়াতে সিদ্দিরাম্মাইয়া সাহায্য করেছিলেন কি করেননি? আমি কর্নাটকের মানুষের কাছে এটা জানতে চাই। আপনারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন আর সন্ত্রাসবাদীদেরই ছেড়ে দেন ? আপনারা সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখেন। মনে রাখবেন বিজেপি সবকিছুর পর্দা ফাঁস করবে। মানুষ সব বুঝতে পারছে আসলে দোষী কারা’। একইসঙ্গে একাধিক কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায় নাড্ডাকে। তাঁর সাফ দাবি, ‘যেখানেই কংগ্রেস সেখানেই দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যায়। তারা আদপে একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। মুখে যা বলে কাজে তা করে না। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যে এক মিশন, এক লক্ষ্য স্থির করে কাজ হয়’। প্রসঙ্গত, শনিবার হনুমান জয়ন্তীর দিন দিল্লিতে যে সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঘটনা ঘটেছিল তাতে পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। দিল্লির ঘটনা ছাড়াও রামনববীর দিন গোটা দেশের মোট ৬টি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হানাহানির খবর মেলে।