নয়া দিল্লি: নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election) দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই ১৪তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। মনোনয়ন প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে, অনেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ডাকে বৈঠকে বসেছিল দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই বৈঠক থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী প্রার্থী হিসেবে শরদ পওয়ার, ফারুখ আবদুল্লা, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছিল। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, এনডিএ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে আগ্রহী নন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। এবার বিবৃতি জারি করে নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা। শনিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রস্তাব অস্বীকার করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান। ফারুখ জানিয়েছেন, তিনি জম্মু-কাশ্মীরের জন্য কাজ করতে চান।
বিবৃতি জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন ফারুখ। সাংসদ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন বলে তিনি সম্মানিত। সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে তিনি চান না, সেই কারণে তিনি নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। বিবৃতি ফারুখ লিখেছেন, “জম্মু-কাশ্মীর অত্যন্ত সঙ্কটজনক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে এই সময়ে রাজ্যের মানুষদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত। আমি এখনও রাজনীতি চালিয়ে যেতে চাই এবং জম্মু-কাশ্মীরের জন্য ইতিবাচক কাজ করে যেতে চাই। সেই কারণে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দৌড় থেকে আমি আমার নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং আমি বিরোধীদের প্রার্থীকে সবরকমভাবে সাহায্য করব।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকের পরেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন মারাঠি নেতা শরদ পওয়ার। তারপরই ফারুখের নাম প্রত্যাহার করা সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবে চাপে পড়ে গিয়েছে বিরোধীরা। সেদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নামও প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছিল। তিনি এখনও অবধি নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানাননি, আগামী দিনে বিরোধীরা কার নাম প্রার্থী হিবেসে চূড়ান্ত করে সেটাই এখন দেখার।