ইম্ফল: ফের কি ‘ঘর’ বদলাচ্ছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ? মণিপুরে জেডিইউয়ের রাজ্য সভাপতির একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেই ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে ফের এনডিএ-র হাত ধরেছেন নীতীশ কুমার। কেন্দ্রে এনডিএ-র অন্যতম শরিক জেডিইউ। বিহারেও বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারে রয়েছে। সেই জেডিইউ কি ফেরে এনডিএ ছাড়ছে? মণিপুরে জেডিইউ সভাপতির এক চিঠিকে কেন্দ্র করে এদিন জোর চর্চা শুরু হয়। শেষপর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হল জেডিইউয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে।
ঠিক কী হয়েছে?
মণিপুরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের শরিক জেডিইউ। তাদের একজন বিধায়ক। যদিও ২০২২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মণিপুরের ৬০টি আসনের মধ্যে ৬টিতে জিতেছিল জেডিইউ। বিজেপি জিতেছিল ৩২টি আসন। নীতীশ কুমারের দলের ৫ বিধায়ক পরে বিজেপিতে যান। ফলে এই মুহূর্তে মণিপুরে বিজেপির বিধায়ক একজনই। দলের সেই বিধায়ক বিধানসভায় বিরোধীদের বেঞ্চে বসবেন জানিয়ে মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লাকে চিঠি লেখেন জেডিইউয়ের মণিপুরের সভাপতি ক্ষেত্রীমায়ুম বীরেন সিং।
চিঠিতে ক্ষেত্রীমায়ুম বীরেন সিং লেখেন, মণিপুরের বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে জেডিইউ। দলের সেই বিধায়ক মহম্মদ আব্দুল নাসিরকে যেন বিরোধী সদস্য হিসেবে দেখা হয়।
তাঁর এই চিঠিকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয়। জেডিইউয়ের এক বিধায়ক সমর্থন তুলে নিলেও সরকারের স্থায়িত্বে কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু, জেডিইউ কেন্দ্রে এনডিএ-র গুরুত্বপূর্ণ শরিক। ফলে নীতীশ কুমার ফের জোট বদলাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এই নিয়ে শোরগোল পড়তেই আসরে নামে জেডিইউয়ের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। জানিয়ে দেয়, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই চিঠি লিখেছেন ক্ষেত্রীমায়ুম বীরেন সিং। তাঁকে পদ থেকে সরানোর কথা জানানো হয়। একইসঙ্গে বলা হয়, জেডিইউ মণিপুরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করছে। রাজ্য ও জাতীয় স্তরে বিজেপির সঙ্গে তাদের জোট অটুট রয়েছে। জেডিইউয়ের জাতীয় মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন প্রসাদ বলেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করেই এই পদক্ষেপ করার পদ থেকে সরানো হয়েছে ক্ষেত্রীমায়ুমকে।