পটনা : বিহারের জোট সরকারের জট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। গত দু’দিন ধরেই জেডিইউ-র বিভিন্ন সময়ের নান ঘোষণার মধ্যেই সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। ২০১৫ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটনার সম্ভবনা দেখা গিয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। এদিকে এই জল্পনার মাঝেই সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বিহারের জেডিইউ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেডিইউ রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। দুপুর সাড়ে ১২ টায় দেখা করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে জেডিইউ-র তরফে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের মতে, বিহারের সরকার নিয়ে আজই কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সেই উদ্দেশেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছে জেডিইউ। কোমর বেঁধেছে বাকি দলগুলিও। জেডিইউ-র সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি আরজেডি বিধায়কদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠকে বসেছেন তেজস্বী যাদবও। এইদিকে জেডিইউয়ের সাংসদ ও বিধায়কদের বৈঠকের আগে দলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেছেন, ‘বিস্ফোরক কোনও খবরের আশা করছেন।’ বিহারের এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। বৈঠক শেষে বিহারের রাজনীতি নিয়ে বড় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপি ও জেডিইউ-র মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিংকে রাজ্যসভার টিকিট দেওয়া নিয়ে সেই দূরত্ব আরও বাড়ে। এদিকে রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও নীতীশের অনুপস্থিতি থেকে বিজেপি-জেডিইউ জোট সমীকরণ প্রশ্নের মুখে পড়ে। সেদিন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়ে দেন, যে মোদীর মন্ত্রীসভায় জেডিইউ-র কোনও প্রতিনিধি থাকবেন না। এরপর সেদিন রাতেই কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। এর থেকে বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস ও আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নীতীশের সরকার গড়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়। এদিকে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দিলে আরজেডির সমর্থন থাকবে জেডিইউ-র সাথে।