শ্রীনগর: বিগত কয়েকদিন ধরেই উপত্যকায় কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police) এবং নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে। কাশ্মীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলেছে। আর এরই মধ্যে বড় সাফল্য পেলেন জওয়ানরা। গুলির লড়াইয়ে নিকেশ জইশ শীর্ষ কমান্ডার (JeM Top Commander) শাম সোফি। জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গি নেতাকে আজ কাশ্মীরের ত্রাল এলাকায় এক অভিযানে খতম করেন জওয়ানরা।
আজ সেনা – পুলিশ যৌথ অভিযান চলাকালীন জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় ত্রাল এলাকায়। সেই সময়েই গুলিবিদ্ধ হয় ওই জঙ্গি নেতা। প্রথমে কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক জইশ কমান্ডারের নিকেশের কথা জানান। পরে কাশ্মীর পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার শাম সোফির নিকেশ নিশ্চিত করেন। কাশ্মীর জ়োন পুলিশের টুইটারেও তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় অবন্তিপোরার ত্রাল এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পাওয়া যায়। গোপন সূত্রে পাওয়া সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনা বাহিনীর জওয়ান এবং সিআরপিএফের জওয়ানদের একটি যৌথ দল এলাকাটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান শুরু করেন।
জঙ্গিরা নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। যারা পাল্টা জবাব দেন জওয়ানরা। দীর্ঘক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয় এবং গুলির লড়াইয়ে ওই জঙ্গি নেতাকে নিকেশ করা হয়।
বিগত এক সপ্তাহ ধরেই কার্যত আতঙ্কে রয়েছে উপত্যকাবাসী। ৫ দিনেই হত্যা করা হয়েছে ৭ জন সাধারণ নাগরিককে। এদের মধ্যে অধিকাংশই আবার হিন্দু বা শিখ। এক কাশ্মীরী পণ্ডিতকে দোকানে ঢুকে গুলি করে খুনের ঘটনার পরই উপত্যকা ছাড়তে শুরু করেছে একাধিক কাশ্মীরী পণ্ডিত পরিবার। এ দিকে, চলতি মাসেই উপত্যকায় সফরে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁর সফরের আগেই এই ধরনের একের পর এক জঙ্গিহানায় উদ্বেগে কেন্দ্রও।
একের পর এক জঙ্গিহানায় জম্মু-কাশ্মীরবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই কারণেই কড়া হাতে জঙ্গি দমনের কাজ শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গতকালও ভোর থেকেই এনকাউন্টার শুরু হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে । অভিযানে, তিন লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba)জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
কাশ্মীর জ়োন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গোপন সূত্রে জঙ্গি উপস্থিতির খবর মিলতেই গতকাল ভোরে সোপিয়ানে হাজির হয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় গুলির লড়াই। যে তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে, তারা লস্কর গোষ্ঠীর প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য। এনকাউন্টার শুরুর পরই গোটা অঞ্চল ঘিরে ফেলা হয়েছিল। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : J&K Encounter: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনও উপত্যকাবাসীর ঘুম ভাঙল গুলির শব্দে, এনকাউন্টারে খতম ৩ লস্কর জঙ্গি