নয়া দিল্লি: অনেক অপমান, লাঞ্ছনা। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ছাড়ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। দীর্ঘ পোস্টে নিজেই জানালেন সে কথা। তবে রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে জিইয়ে রাখলেন জল্পনা। জানালেন, তাঁর সামনে এখন খোলা রয়েছে তিনটি পথ। এর মধ্যেই কোনও একটি পথ বেছে নেবেন তিনি। কী কী সেই পথ?
ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনকে নিয়ে গত সপ্তাহের শেষভাগ থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। রবিবার দিল্লিতে আসতেই জোর জল্পনা শোনা যায় যে জেএমএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন চম্পাই। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা যে ছাড়ছেন, তা রাতে নিজের পোস্টে স্পষ্ট করে দিলেন চম্পাই সোরেন।
এক্স হ্যান্ডেলে রবিবারই এক দীর্ঘ পোস্ট করেন চম্পাই সোরেন। তাতে লেখেন, দীর্ঘ পর্যালোচনা ও অন্তর থেকে বিচার করার পর তিনটি অপশনের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। প্রথম অপশনটি হল, রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায়। দ্বিতীয়, নতুন দল বা সংগঠন তৈরি। এবং তৃতীয় অপশন হল যদি এই পথে কোনও “সঙ্গী” মেলে, তবে তার সঙ্গে বাকি পথ চলা। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত তাঁর সামনে এই তিনটি পথই খোলা রয়েছে বলে জানান চম্পাই।
जोहार साथियों,
आज समाचार देखने के बाद, आप सभी के मन में कई सवाल उमड़ रहे होंगे। आखिर ऐसा क्या हुआ, जिसने कोल्हान के एक छोटे से गांव में रहने वाले एक गरीब किसान के बेटे को इस मोड़ पर लाकर खड़ा कर दिया।
अपने सार्वजनिक जीवन की शुरुआत में औद्योगिक घरानों के खिलाफ मजदूरों की आवाज…
— Champai Soren (@ChampaiSoren) August 18, 2024
এরমধ্যে সকলের নজর কেড়েছে চম্পাইয়ের তৃতীয় অপশন বা পথই, যা হল সঙ্গী খোঁজা। প্রশ্ন উঠছে, সঙ্গী খুঁজতেই কি রবিবার দিল্লি গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? যদিও চম্পাই গতকাল দাবি করেন, ব্যক্তিগত কাজেই তিনি দিল্লি এসেছিলেন। তবে সূত্রের খবর, দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতায় এসে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছেন চম্পাই সোরেন।
রাজনীতি থেকে অবসরই হোক বা নতুন দলে যোগ, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চায় যে আর থাকছেন না, তা সাফ জানিয়েছেন ৬৭ বছর বয়সী নেতা। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁকে অপমানিত, লাঞ্ছিত হতে হয়েছে। তাঁকে না জানিয়েই দলের নেতৃত্ব সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে, এমনকী বৈঠকে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত অন্য কোনও অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে মানা করা হয়েছিল চম্পাই সোরেনকে, এমনটাই অভিযোগ।
আর বৈঠকেই বা কী হয়, তাঁকে ডেকে ইস্তফাপত্র লিখতে বলা হয়। এই সমস্ত অপমান সয়েই বিকল্প পথের কথা চিন্তা করেছেন, এমনটাই জানান চম্পাই সোরেন।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)