Jharkhand Coalition: ছত্তীসগঢ়ের বিলাসবহুল রিসর্টে ঝাড়খণ্ডের বিধায়করা, দেওয়া হল ‘বিশেষ মোবাইল’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Aug 31, 2022 | 5:08 PM

JMM-Congress: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়ি থেকে শাসক শিবিরের বিধায়করা দুটি বাসে চেপে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।

Jharkhand Coalition: ছত্তীসগঢ়ের বিলাসবহুল রিসর্টে ঝাড়খণ্ডের বিধায়করা, দেওয়া হল বিশেষ মোবাইল
ছবি: পিটিআই

Follow Us

রাঁচি: ঝাড়খণ্ড জোট সরকারে তৈরি হওয়া সংকট পরিস্থিতির মধ্যেই শাসক জোটের বিধায়কদের কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগঢ়ের একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেএএম-কংগ্রেস জোট সরকারের অভিযোগ ছিল, বিজেপি ঝাড়খণ্ডের আইন প্রণেতাদের বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে শিবির বদল করানোর চেষ্টা করছে। গতকালই ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুরের মে ফেয়ার হোটেলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস বিধায়করা পৌঁছে গিয়েছেন। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে বিধায়কদের পাঠানো পরিকল্পিত রাজনৈতিক পদক্ষেপ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল গতকালই ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে নৈশহার সেরেছেন। সম্প্রতি রাজ্যসভা নির্বাচনের সময় ক্রস ভোটিং আটকাতে অসম ও হরিয়ানার বিধায়কদের এই হোটেলে এনে রেখেছিল কংগ্রেস।

১০০ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত এই মে-ফেয়ার রিসর্টে ভিলা এবং গল্ফ কোর্সও রয়েছে। তবে ঝাড়খণ্ডের শাসক শিবিরের বিধায়করা এখানে কতদিন থাকবেন, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের চোখে পড়েছে যে হোটেলের গেটে একটি নোটিস লাগানো হয়েছে, যেখানে লেখা আছে যে ‘রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসর্টের গল্ফকোর্স সাময়িকভাবে বন্ধ।’ ঝাড়খণ্ড পুলিশের পক্ষ থেকে এই রিসর্টকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গোটা রিসর্টিকে ঘিরে রেখেছেন পুলিশকর্মীরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হোটেলে চেকইন করার পর থেকে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। ছত্তীসগঢ়ের মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ কার জন্য তাদের বিশেষ একটি মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বাড়ি থেকে শাসক শিবিরের বিধায়করা দুটি বাসে চেপে এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। সেখানে একটি চাটার্ড বিমান বিধায়কদের জন্য অপেক্ষা করছিল। এমনকী প্রকাশিত ভিডিয়োতে মুখ্যমন্ত্রী সোরেনকেও সেখানে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন রাজ্যের রাজ্যপালকে ক্রমাগত মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছে। তারপর থেকে ঝাড়খণ্ড সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। বিজেপির অভিযোগ, নিজের নামে খনি লিজে নিয়ে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন হেমন্ত সোরেন। নৈতিকতার কারণে হেমন্তের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। আগামী দিনে সরকারের পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।

Next Article