শ্রীনগর: জল্পনা ছিল অনেকদিন আগে থেকেই। ক্ষোভের আগুনও ধিকিধিকি করে জ্বলছিল বিগত কয়েক বছর ধরে। শুক্রবারই বিস্ফোরণ হয় সেই অগ্নিকুণ্ডের, কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ। দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীকে একটি লম্বা চিঠি লিখে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়েছেন, সেই চিঠিতেই তিনি রাহুল গান্ধী ও তাঁর কিছু সহকারীদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এদিকে প্রবীণ কাশ্মীরী নেতার ইস্তফার পরই কংগ্রেসের সমালোচনায় সরব হয়েছেন অন্যান্য দলের নেতারাও। আজাদের ইস্তফা নিয়ে মুখ খুললেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাও। তিনি বলেন, “যারা রাহুল গান্ধীর কানে ভুল পরামর্শ দিচ্ছেন, তাদের লাথি মেরে বের করা দরকার কংগ্রেসের।”
শুক্রবার প্রবীণ নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদের কংগ্রেস ছাড়ার কথা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেস থেকে ও দলীয় সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। যে ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, দেশের স্বাধীনতার সময় দলের পাশে ছিলেন, গান্ধী পরিবারেরই একজন সদস্য হিসাবে পরিচিত ছিলেন, তাঁকে আজ বিশেষ কিছু কারণে কংগ্রেস ছাড়তে হল।”
ইস্তফাপত্রে গুলাম নবি আজাদ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি এনেছেন, সে প্রসঙ্গে ফারুক আবদুল্লা বলেন, “রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ মহলেরই কেউ শুধুমাত্র তাঁকে ভুল পরামর্শই দিচ্ছে না, একইসঙ্গে কংগ্রেসকে ধ্বংস করে ফেলারও চেষ্টা করছে।”
কংগ্রেসের সমালোচনায় জি-২৩ নেতাদের আগেও ক্ষোভ দেখানোর প্রসঙ্গ টেনে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “২৩ জন কংগ্রেস নেতা দলের উন্নতি ও দলের অন্দরে গণতন্ত্র চেয়ে একটি অতি সাধারণ চিঠি লিখেছিলেন। সেই পরিবর্তন এখনও অবধি হয়নি। যে বা যারা রাহুল গান্ধীর কানে মন্ত্র ঢালছেন যে তাঁকে হারানোর জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তিই আসলে ভুল। ওই ব্যক্তিকে দল থেকে ছুঁড়ে ফেলা উচিত এবং দলের উন্নতির জন্য এই নেতাদের (জি-২৩) ফিরিয়ে আনা উচিত। কংগ্রেস যদি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, তবে নিজেদের কঠোর ও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসাবে প্রমাণ করতে হবে।”