নয়া দিল্লি: একশো দিনের কাজের টাকা ও আবাস যোজনায় রাজ্যের ‘বঞ্চিতদের’ দাবি দাওয়া নিয়ে দু’দিন আগেই যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। আর এবার দিল্লির যন্তর মন্তরে হাজির বাংলার ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীরাও। নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে এবার রাজধানীর বুকে যন্তর মন্তরে ধরনায় বসলেন বাংলার চাকরিপ্রার্থীরা। এরা ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থী। প্রত্যেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার। এতগুলি বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁদের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। এমন অবস্থায় এবার নিজেদের দাবি নিয়ে দিল্লির বুকেই ধরনায় বসে পড়লেন তাঁরা।
কিছুদিন আগেই দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। শাসক দলের প্রথম সারির সব নেতা-মন্ত্রীরা ছিলেন রাজধানীতে। গান্ধী জয়ন্তীতে ও তার পরের দিন, ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলেছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। দিল্লিতে তৃণমূলের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্রাত্য বসুদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। সেই সূত্র ধরেই দিল্লিতে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু অভিষেক বা ব্রাত্যর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মেলেনি তাঁদের। রাজঘাট গিয়েছিলেন, কিন্তু দিল্লি পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ।
এরপর সাউথ এভিনিউতে অভিষেকের বাসভবনের কাছেও পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানেও কোনও সুবিধা করতে পারেননি। এমনকী গতকাল ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে বঙ্গভবনের সামনেও পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। একপ্রস্থ বিক্ষোভও দেখান সেখানে। কিন্তু বঙ্গভবনের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
এমন অবস্থায় আজ (বৃহস্পতিবার) দিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেছেন বাংলা থেকে আসা ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের সাত জনের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে যন্তর মন্তরে ধরনায় চালিয়ে যাচ্ছেন।