মুম্বই: সোমবার (৭ অক্টোবর), বিকেলে তেলঙ্গানা থেকে মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করবে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোট শরিক হিসেবে রয়েছে এনসিপি এবং উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার অংশ। শরিকরা কি কংগ্রেসের এই যাত্রায় অংশ নেবেন? এর আগে তামিলনাড়ুতে এমকে স্ট্যালিনকে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারত জোড়ো যাত্রায়। কিন্তু ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পওয়ার কি ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেবেন? এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতাদের মতে, শরদ পওয়ারের যাত্রায় অংশ নেওয়াটা নির্ভর করছে তাঁর স্বাস্থ্যের উপর।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এনসিপি প্রধানকে যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শরদ পওয়ার নিজেও আগে জানিয়েছিলেন, তিনি ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেবেন। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। জ্বর এবং অন্যান্য অসুস্থতার জন্য তাঁকে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তবে, সেখান থেকেই তিনি তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবারই, তিনি হাসপাতাল থেকে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে শ্রিধিতে উড়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিল চিকিৎসকদের একটি দলও। এক জনসভায় বক্তৃতাও দেন।
তবে, ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেওয়া মানে তাঁকে পদযাত্রায় অংশ নিতে হবে। সেটা নির্ভর করছে তাঁর স্বাস্থ্যের উপরই। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা অশোক চভন বলেছেন, “শরদ পওয়ারের কর্মসূচিতে মনে হয় কিছু বদল ঘটেছে। আমি জানতে পেরেছি, তিনি সম্ভবত ১০ নভেম্বর যাত্রায় যোগ দেবেন। তবে তা নির্ভর করছে তাঁর শরীর কেমন থাকে, তার উপর।”
কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্ব জানিয়েছে, এদিন বিকেলে তেলঙ্গানা থেকে নানদেদ জেলা দিয়ে মহরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। নানদেদের দেগলুরে যখন ভারত জোড়ো যাত্রা এসে পৌঁছবে, সেখানে কংগ্রেসের রাজ্য শাখার পক্ষ থেকে তাঁদের অভ্যর্থনা করা হবে। দেগলুরের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের মূর্তির সামনে সেই অভ্য়র্থনার পর ‘একতা মশাল’ যাত্রায় অংশ নেবে ভারত জোড়ো যাত্রা। মধ্যরাতের পর, দেগলুর গুরুদ্বারে বিশ্রাম নেবেন ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা।