নয়া দিল্লি: চার্জ গঠনের পর আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত যা বলেছেন, তা বিস্ফোরক। সংবাদমাধ্যমের সামনে চিৎকার করে দাবি করেছেন যে, তিনি নির্দোষ, ডিপার্টমেন্ট তাঁকে চুপ করে থাকতে বলেছে। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের সেই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তদন্ত নিয়েও। এই বক্তব্য শোনার পর এবার নতুন করে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম (WBJDF)-এর সদস্যরা।
প্রশ্ন ১: ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ আছে, নিহতের এন্ডোসারভাইকাল ক্যানালে সাদা, গাঢ়, চটচটে তরলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। সেই তরলের ডিএনএ পরীক্ষা হয়েছে কি? হলে রিপোর্ট কোথায়?
প্রশ্ন ২: চার্জশিটে বলা হয়েছে, ডিএনএ (DNA) পরীক্ষায় তিলোত্তমার শরীরের উপরিভাগে ধৃত ব্যক্তির লালারস থাকার প্রমাণ মিলেছে। প্রশ্ন হল, লালারসের ডিএনএ পরীক্ষার কতা উল্লেখ থাকলে সাদা, গাঢ় তরলের ডিএনএ পরীক্ষার উল্লেখ নেই কেন?
প্রশ্ন ৩: ব্লু-টুথের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। চার্জশিট অনুযায়ী, চেস্ট মেডিসিনের সিসি ক্যামেরায় ভোর ৪টে ৩ মিনিটে ওয়ার্ডের ভিতরে যান ওই ব্যক্তি, ৪টে ৩২ মিনিটে ওয়ার্ড থেকে বেরনোর সময় আর ইয়ারফোন দেখা যায়নি। চার্জশিটেই বলা হয়েছে, ৪টে ৩১ মিনিটে ওয়ার্ড থেকে ক্যামেরার দিকে হেঁটে গিয়ে আবার ওয়ার্ডে ফিরে যান অভিযুক্ত। ওই সময় ইয়ারফোন কোথায় ছিল তার উল্লেখ নেই কেন?
প্রশ্ন ৪: এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চেস্ট মেডিসিনের সিসি ক্যামেরায় ভোর ৪টে ০৩ মিনিটে দেখা যায় অভিযুক্তকে। তার আগে তিনি কোথায় ছিলেন, সেই অবস্থান চার্জশিটে স্পষ্ট নয়। ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় ওই সেদিন ব্যক্তি কী করছিলেন?
প্রশ্ন ৫: ৯ অগস্ট অটোপ্সির জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হলেও কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে তা পাঠানো হয় ১৪ অগস্ট। এত সময় লাগল কেন?
প্রশ্ন ৬: চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, ঘটনার দিন দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে তিলোত্তমার বাবা-মা আরজি করে পৌঁছন, তারপরের ঘটনাক্রমের উল্লেখ নেই। কেন ৩ ঘণ্টা ধরে মেয়ের মৃতদেহের কাছে বাবা-মা যেতে পারলেন না, তারও উল্লেখ নেই।
প্রশ্ন ৭: কী কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও এফআইআর (FIR) করেনি? কেন তিলোত্তমার মা-বাবাকেই পরে এফআইআর করতে হয়েছে?