Justice Abhijit Ganguly resigns: অভিজিৎ একা নন, ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে নেমেছেন এই বিচারপতিরাও

Justice Abhijit Ganguly resigns: অবসরের পর, অনেক বিচারপতিকেই রাজনৈতিক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। হাতের কাছেই উদাহরণ রয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের। কিন্তু, পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া? একেবারেই বেনজির তা নয়, তবে অনেক খুঁজেও খুব বেশি উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে না।

Justice Abhijit Ganguly resigns: অভিজিৎ একা নন, ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে নেমেছেন এই বিচারপতিরাও
বাঁদিক থেকে - বিচারপতি বাহারুল ইসলাম, বিচারপতি কেএস হেগড়ে এবং বিচারপতি সুভাষচন্দ্র রাঠোর Image Credit source: Wikipedia
Follow Us:
| Updated on: Mar 03, 2024 | 4:53 PM

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে হইচই। রবিবার (৩ মার্চ) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মাঝে বড় কোনও বদল না ঘটলে, আগামী মঙ্গলবারই ইস্তফা দেবেন তিনি। চলতি বছরের ১০ অগস্টই তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। তার মাত্র কয়েক মাস আগে তিনি কেন পদত্যাগ করছেন? এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সামনেই লোকসভা ভোট। তাই, তার আগে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তিনি বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। অবসরের পর, অনেক বিচারপতিকেই রাজনৈতিক ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। হাতের কাছেই উদাহরণ রয়েছে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের। অবসরের পর, বিজেপির টিকিটে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন। একইভাবে ২০১৭-য় অবসরের পর কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভয় ত্রিপাঠী। কিন্তু, পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া? একেবারেই বেনজির তা নয়, তবে অনেক খুঁজেও খুব বেশি উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে না।

বিচারপতি বাহারুল ইসলাম

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থাকাকালীনই, ১৯৫৬ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বাহারুল ইসলাম। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৬৮ সালে তিনি রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৭২-এ রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর তাঁকে তৎকালীন অসম ও নাগাল্যান্ড হাইকোর্টের (বর্তমানে গুয়াহাটি হাইকোর্ট) বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়, পরে একই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। ১৯৮০ সালে সেই পদ থেকে অবসরের পর তাঁকে নজিরবিহীনভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এরপর ১৯৮৩ সালে সেই পদ তেকে ইস্তফা দিয়ে লোকসভা নির্বাচনে তিনি অসমের বরপেটা থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে, ১৯৮৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অসমের ভোট স্থগিত করায়, তিনি রাজ্যসভায় পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিচারপতি কেএস হেগড়ে

১৯৭৩ সালে প্রধান বিচারপতি পদের জন্য যে ৩ জন বিচারপতির নাম বাতিল করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, তাঁদের একজন ছিলেন বিচারপতি কেএস হেগড়ে। ১৯৫২ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। এরপর, মহীশূর হাইকোর্টের বিচারপতি হয়েছিলেন। তারপর ১৯৬৬ সালে নবগঠিত দিল্লি হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন১৯৬৭ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হন। ১৯৭৩-এর এপ্রিলে সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ফের রাজনীতিতে ফিরেছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির টিকিটে ব্যাঙ্গালোর দক্ষিণ লোকসভা আসন থেকে জয়ী হন তিনি। পরে লোকসভার অধ্যক্ষও হয়েছিলেন।

বিচারপতি সুভাষচন্দ্র রাঠোর

কর্নাটকের গদগ জেএমএফ আদালতের বিচারপতি ছিলেন সুভাষচন্দ্র রাঠোর। ২০২৩ সালে ৪০ বছর বয়সী এই বিচারক, বিচার বিভাগের পদ ছেড়ে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। চিত্তরপুর কেন্দ্র থেকে জেডি(এস) প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তবে, কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে।