কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টে বারবার পিছিয়ে গিয়েছে ডিএ মামলার শুনানি। এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে লড়ছে। হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। এবার সেই মামলা নিয়ে ফের তৈরি হল অনিশ্চয়তা। শুক্রবারই অবসর নিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে শুনানি চলছিল। এবার বিচারপতি মাহেশ্বরী অবসর নেওয়ায় নতুন করে বেঞ্চ গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগেও একাধিকবার বেঞ্চ পরিবর্তন হয়েছে, পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি।
গত ২৪ এপ্রিল ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা না থাকায় পিছিয়ে যায় শুনানি। আগামী ১৯ মে থেকে সুপ্রিম কোর্টে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পড়বে সুপ্রিম কোর্টে। তার আগেই অবসর নিলেন বিচারপতি মাহেশ্বরী। ফলে আন্দোলনকারীরা মনে করছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাবে এই মামলা।
গত জানুয়ারি মাসে ডিএ মামলার বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। বাঙালি হওয়ায় এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এরপর বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়কে নিয়ে বেঞ্চ গঠন হয়। এরপর সরে দাঁড়ান বিচারপতি হৃষিকেশ রায়। ফের বেঞ্চ গঠন হয়। সেই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার।
তিন মাসের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বছরই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সেই ডিএ না মেটানো হয়নি। এরপর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি। এই মামলা নিয়েই আশায় বুক বেঁধেছেন সরকারি কর্মীরা। তবে এভাবে বারবার মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, আদৌ সুরাহা হবে তো?