নয়া দিল্লি: সম্ভবত, অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার। সোমবারের রাত পোহালেই ‘হাত’ ধরতে চলেছেন কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। সঙ্গে যাচ্ছেন জিগনেশ মেওয়ানি (Jignesh Mevani)। শেষ মুহূর্তে যদি পরিকল্পনায় বড় কোনও বদল না আসে, তবে আগামিকাল গোটা প্রচার মাধ্যমে একটাই নাম থাকবে- কানহাইয়া কুমার। যিনি সিপিআই নেতা, তথা জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি। প্রায় মাসখানেক ধরে চলা কানাঘুষো ও ফিসফাসে হয়তো যবনিকা টানবেন রাহুন গান্ধীই। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতির হাত ধরেই কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন এই দুই তরুণ তুর্কি নেতা।
সূত্র জানাচ্ছে, আগামিকাল এই যোগদান পর্ব বিকেল নাগাদ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। দিল্লিতে কংগ্রেসে মুখ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এই যোগদান পর্ব সারা হবে। একদিকে বামপন্থী ছাত্রনেতা, অপরদিকে দলিত নেতা। এই যোগদান বাস্তবায়িত হলে কংগ্রেসের প্রতি যুব সমাজের নজর একটু হলেও ঘোরে কিনা সেটাই দেখার। যেভাবে কংগ্রেস ক্রমশ ঘরোয়া কোন্দল ও রাজ্যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কাড়াকাড়ি নিয়ে বিব্রত, সেই সময় কিছুটা হলেও তারুণ্যের অক্সিজেন পাবে কংগ্রেস। নির্বাচনে এর প্রভাব আদৌ পড়বে কিনা সেটা বুঝতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। তবে প্রচার মাধ্যম্যে কংগ্রেসের প্রকাশ যে একটু হলেও বাড়বে, সেটা নির্দ্বিধায় বুঝছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
কংগ্রেসের অন্দরে কানহাইয়া ও জিগনেশের কী ভূমিকা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে জিগনেশকে গুজরাটে ও কানহাইয়াকে বিহারে বিরোধী মুখ করে তোলার প্রচেষ্টা যে চলবে সে কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। সংশ্লিষ্ট দুই রাজ্যের সংগঠনে দু’জনকে বড় পদও দেওয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সময়ে গোটা দেশেও প্রয়োজন অনুসারে ঘুরে ঘুরে প্রচার এঁরা করবেন। সূত্র জানাচ্ছে, এই দুই যুব নেতাই ব্যক্তিগতভাবে রাহুল গান্ধীর বেশ পছন্দের। যদিও সিপিআইএম থেকে দল ভাঙিয়ে কানহাইয়া আনার কারণে রাহুলের সমালোচনা হচ্ছে কোনও কোনও মহলে।
তবে এমন একটা সময় যখন একে একে কংগ্রেসের এক একটা স্তম্ভ খসে পড়ছে, সেই সময় এই দুই নেতা এসে দলের পরিস্থিতি কতটা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ থেকেই যাচ্ছে। জাতীয় স্তরে যে সময় আঞ্চলিক নেতাদের মোদী সরকারে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা শুরু হয়েছে, সে সময় এই দুই নেতা পুনরায় প্রচারের আলো রাহুলের দিকেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এ বার আগামিকাল আদৌ সমস্ত জল্পনা ও অপেক্ষা বাস্তব রূপ নেয় কিনা সে দিকেই চোখ থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন: Shootout at Raigunj: ভরসন্ধ্যায় শুটআউট রায়গঞ্জে! মৃত্যু এক মহিলার, বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ আরও ২