নয়া দিল্লি: বর্ষবরণের রাতে, নয়া দিল্লির কাঞ্ঝাওয়ালায় প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা গাড়ির ঘষটে মৃত্যু হয়েছিল অঞ্জলি সিং-এর। এই মৃত্যু মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এক সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার রাতে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার কথা পুলিশকে জানালেও, তারা তা অবজ্ঞা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এই পুলিশ কর্মীদের সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে একটি রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই এই নির্দেশ পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
নববর্ষের ভোরে পাঁচ ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ধাক্কা মেরেছিল অঞ্জলি সিং-এর স্কুটিতে। তিনি স্কুটি থেকে পড়ে গিয়েছিলেন এবং গড়িয়ে গাড়িটির নীচে চলে গিয়েছিলেন। গাড়ির নিচে তাঁর শরীর আটকে গিয়েছিল। ওই অবস্থায় মদ্যপ ব্যক্তিরা ১২ কিলোমিটার রাস্তা গাড়ি চালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, একের পর এক ভোঁতা আঘাতে মৃত্যু হয়েছে অঞ্জলির। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছিল, এমনকি গায়ের ছাল-চামড়া উঠে গিয়েছিল রাস্তায় ঘষা লেগে। স্কুটির পিছনে তাঁর এক বান্ধবীও ছিলেন। তিনি সামান্যই আঘাত পেয়েছিলেন।
এই ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে প্রবল জনরোষ তৈরি হয়েছে। এক পদস্থ পুলিশ কর্তার তদন্তে উঠে এসেছে, তিনটি পিসিআর ভ্যান এবং দুটি পুলিশ পিকেটের মোতায়েন পুলিশ কর্মীরা ওই রাত চাইলে অঞ্জলিকে বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু, প্রত্যক্ষদর্শীদের সতর্কবার্তা তাঁরা অবহেলা করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এক সূত্রের দাবি, জেলা পুলিশের ইনচার্জকেও কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। ঘটনার সময় ওই এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কেও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারই দিল্লির এক মেট্রোপলিটন আদালত এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আশুতোষ ভরদ্বাজের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া দালাল বলেন, তদন্ত একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধের অভিযোগগুলির বিচার চলছে দায়রা আদালতে। এই অবস্থায়, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে আদালত আশুতোষকে জামিন দিতে আগ্রহী নয়।