নয়া দিল্লি: নয়া দিল্লিতে স্কুটিতে ধাক্কা মেরে, ২০ বছরের তরুণীকে গাড়ির তলায় ১২ কিলোমিটার ঘষটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নতুন মোড়। ঘটনার দুদিন পর, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাতে অঞ্জলির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হল। আর সেই রাতেই প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ঘটনার অন্যতম প্রধান সাক্ষী তথা নিহত অঞ্জলি সিং-এর বান্ধবী নিধি। ঘটনার সময় তিনিও ওই স্কুটির সওয়ার ছিলেন। তিনি দাবি করেছেন, ঘাতক গাড়ির চালক জানত, তাদের গাড়ির নিচে আটকে গিয়েছেন অঞ্জলি। কারণ, সেই সময় ব্যথায়-আতঙ্কে চিৎকার করছিলেন অঞ্জলি। এর আগে, গাড়িটির ৫ সওয়ারি দাবি করেছিল যে, দুর্ঘটনা ঘটলেও, তাদের গাড়ির নিচে যে অঞ্জলির দেহ আটকে গিয়েছিল, তা তারা বুঝতেই পারেনি।
কী বলেছেন অঞ্জলির বান্ধবী নিধি? এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিধি বলেছেন, “বালোনে গাড়িটি আমাদের মুখোমুখি ধাক্কা মেরেছিল। আমি রাস্তার একদিকে পড়ে গিয়েছিলাম। ও পড়ে গিয়েছিল গড়িটির সামনে। আমার বান্ধবী গাড়িটির নিচেআটকে গিয়েছিল। গাড়িতে থাকা পুরুষরা জানত যে একটি মেয়ে গড়িয়ে গাড়ির নিচে চলে গিয়েছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ওকে চাপা দেয়। ও গাড়ির নিচে আটকে গিয়ে চিৎকার করছিল। আমি প্রচণ্ড আশাহত হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম। বাড়িতে গিয়ে আতঙ্কে আমি কাউকে কিছু বলিনি। প্রচুর কেঁদেছি। ওরা দুবার সামনে এগিয়ে ছিল এবং পিছনে পিছিয়ে এসেছিল। অঞ্জলি চিত হয়ে পড়েছিল। সম্ভবত (গাড়ির নিচে) কিছুতে আটকে গিয়েছিল। তাই ওরা সামনে-পিছনে করে ওকে গাড়ি থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করে। তারপর ওরা ওকে গাড়ির ঘষটে টেনে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল।” নিধি আরও দাবি করেছেন, স্কুটি চালানোর সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন অঞ্জলীও। তিনি বলেছেন, “ও মত্ত অবস্থায় ছিল কিন্তু স্কুটি চালানোর জন্য জোর করেছিল।”
গাড়িতে থাকা পাঁচ ব্যক্তিকেই গত রবিবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের দাবি, হরিয়ানার মুরথাল থেকে ফিরছিল তারা। পথে দুটি মদের বোতল শেষ করেছিল। সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিল। স্কুটিতে ধাক্কা দেওয়ার পর আতঙ্কে গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল। অঞ্জলী যে তাদের গাড়ির নিচে আটকে ছিল, সেই সম্পর্কে তাদের কোনও ধারণা ছিল না। এছাড়া, গাড়িতে জোরে গান বাজছিল। তাই তারা কিছু শুনতেও পায়নি। নিধির এদিনের বয়ানে অবশ্য তদন্তের গতি বদলে যেতে পারে।