বেঙ্গালুরু: স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওই পুলিশকর্মী স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। এ জন্য তিনি নিজের কর্মস্থল থেকে ২৩০ কিলোমিটার দূরে গিয়েছিলেন। ওই পুলিশকর্মীর স্ত্রী ১০ দিন আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে অন্য পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন অভিযুক্ত কনস্টেবল। তার জেরেই এই খুন বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে।
জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ কনস্টেবল কর্নাটক পুলিশে কর্মরত। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম কিশোর ডি। ৩২ বছরের কিশোরের স্ত্রীর নাম প্রতিভা (২৪)। জানা গিয়েছে, দিন ১০ আগেই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রতিভা। সন্তান জন্মানোর আগে থেকেই তিনি ছিলেন নিজের বাপের বাড়িতে। কর্নাটকের হোসকোটের কাছে কালাথুর গ্রামে তাঁর বাপের বাড়ি। অন্য দিকে কিশোরের বাড়ি কোলার জেলার বীরপুরাতে। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর কিশোরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রতিভার। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই প্রতিভার উপর সন্দেহ করতেন কিশোর। প্রতিভা কারও সঙ্গে কথা বললেই খোঁজ খবর নিতেন বলেও জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি বাপের বাড়িতে থাকা প্রতিভার সঙ্গে ঝগড়া হয় কিশোরের। অতিষ্ঠ হয়ে কিশোরের ফোন ধরা বন্ধ করে দেন প্রতিভা। এর পরই সোমবার শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন কিশোর। সে সময় তাঁর শাশুড়ি গিয়েছিলেন বাড়ির বাইরে। নবজাতককে নিয়ে বাড়িতে একা ছিলেন প্রতিভা। সেই সুযোগে শ্বাসরোধ করে প্রতিভাকে কিশোর খুন করেন বলে অভিযোগ। এর পর প্রতিভার মা বাড়ি ফিরে আসতেই ডাকাডাকি শুরু করেন। তখন দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন কিশোর। এসেই চিৎকার করে বলতে থাকেন, তিনি প্রতিভাকে খুন করেছেন। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।