Bribe Case: ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়লেন বিজেপি বিধায়কের ছেলে, উদ্ধার ৪ কোটি টাকা

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Mar 03, 2023 | 8:29 AM

Karnataka Assembly Election 2023: ছেলে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ার পরই বিজেপি বিধায়ক বলেন, "আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। সংবাদ মাধ্যম থেকে আমি এই বিষয়ে জানতে পেরেছি।"

Bribe Case: ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়লেন বিজেপি বিধায়কের ছেলে, উদ্ধার ৪ কোটি টাকা
ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন বিজেপি বিধায়কের ছেলে।

Follow Us

বেঙ্গালুরু: চলতি বছরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই মুখ পুড়ল বিজেপির (BJP)। ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও হলেন এক বিজেপি বিধায়কের ছেলে (BJP MLA’s Son)। কর্নাটক সরকারের দুর্নীতি দমন শাখা লোকাযুক্ত বেঙ্গালুরুর একটি অফিস থেকে নগদ ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ (Bribe) নিতে গিয়ে ধরেন বিজেপি বিধায়কের ছেলেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মদল বীরুপক্ষপ্পা নামক এক বিজেপি বিধায়কের প্রশান্ত মদল ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন। বৃহস্পতিবারই সকালে লোকাযুক্ত(Lokayukta) অফিসে তাঁর নামে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরই তদন্তে নামেন আধিকারিকরা। তাঁর অফিসে হানা দিতেই হাতেনাতে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা হয় প্রশান্ত মদলকে।

জানা গিয়েছে, বিজেপি বিধায়ক মদল বীরুপক্ষপ্পা কর্নাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান। তাঁর ছেলেও এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার সকালেই কর্নাটকের দুর্নীতি দমন বিভাগ লোকাযুক্তে গিয়ে এক ব্যক্তি বিজেপি বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ জানান। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই লোকাযুক্ত আধিকারিকরা ফাঁদ পাতেন। তাঁর অফিসে হানা দিতেই তাঁকে নগদ ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা হয়।

লোকাযুক্ত বিভাগের এক আধিকারিক জানান, আমরা ওনার (প্রশান্ত মদল) অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নগদ ১.৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছি। আমাদের অনুমান, বাবার হয়েই ঘুষ নিচ্ছিলেন প্রশান্ত। তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার উৎস খুঁজতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরে জানা যায়, মোট ৪ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, ছেলে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়ার পরই বিজেপি বিধায়ক বলেন, “আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। সংবাদ মাধ্যম থেকে আমি এই বিষয়ে জানতে পেরেছি। আমার ছেলের সঙ্গেও কথা বলতে পারিনি কারণ বর্তমানে ও লোকাযুক্তের হেফাজতে রয়েছে।”

উল্লেখ্য, লোকাযুক্ত হল কর্নাটকের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ, যা সরকার ও প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যেকোনও অভিযোগ সমাধানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে দুর্নীতি দমন শাখা বিলুপ্ত করে দেওয়ার পর লোকাযুক্তের হাতে যাবতীয় দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয়।

Next Article