বেঙ্গালুরু: তিনি শিক্ষক। কিন্তু তাঁর মুখে করুচিকর ভাষা। আচরণেও অশ্লীলতার ছাপ। এমনই অভিযোগ উঠল কর্নাটকের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাত্র ছাত্রীদের মায়েদের অশ্লীল মেসেজ পাঠান তিনি। এমনকি পড়ুয়াদের অভিভাবকরা কিছু জিজ্ঞাসা করলে কুরুচিকর মন্তব্য করতেন তিনি। শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিকবার হেনস্থার অভিযোগ আনেন অভিভাবকরা। এরপর কর্নাটকের তুমাকুরু জেলার মধুগিরি তালুকের ওই প্রাথমিক শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন মধুগিরির জেলা শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর এম রেভানা সিদ্দাপ্পা।
জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, পড়াশোনার ব্যাপারে আলোচনার জন্য প্রায়শই পড়ুয়াদের মায়েদের ফোন করতেন ওই শিক্ষক। তখন কথা বলার সময় তাঁর মুখে গালাগাল শোনা যেত বলে অভিযোগ। এমনকি কুরুচিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মার্কশিট নিতে বা পড়াশোনার ব্যাপারে কিছু জানতে মায়েরা যখন স্কুলে যেতেন, তখনও তাঁদের সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক খারাপ ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্র ছাত্রীদের মায়েরা।
সেই অভিযোগ যায় জেলা শিক্ষা দফতরে। এর পরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। সাসপেন্ড করা নিয়ে জেলা শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সিদ্দাপ্পা বলেছেন, “ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। ছাত্র, ছাত্রীদের মায়েদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আমি ব্লক এডুকেশন অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছিলাম বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য। রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই সাসপেন্ড করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সেই তদন্তে অভিযুক্ত শিক্ষক দোষী প্রমানিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে কর্নাটক সিভিল সার্ভিসের নিময় অনুসারে ব্যবস্থা নেওয় হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।