নয়াদিল্লি: এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত। ভারতের পরম্পরা। তার লোকগীতি। সবমিলিয়ে ভারতের সংস্কৃতির মেলবন্ধন দেখা গেল ‘কাবেরী মিটস গঙ্গা’ উৎসবে। গত ২ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব হল কর্তব্য পথ ও সিসিআরটি দ্বারকায়। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কর্তব্যপথে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। ছিলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালও। উৎসবে মেতে উঠলেন সাধারণ মানুষ।
কাবেরী-গঙ্গার মেলবন্ধনের এই উৎসব যৌথভাবে আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রকের সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি ও কলাক্ষেত্র এবং সেন্ট্রাল ফর কালচারাল রিসোর্সেস অ্যান্ড ট্রেনিং (সিসিআরটি)। এই উৎসবে যেমন দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ভারতের সঙ্গীত। তেমনই মন কেড়েছে উত্তর ভারতের নাচ। ঐতিহ্যশালী ও লোকশিল্পের মাধ্যমে ভারতের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক পরম্পরাকে তুলে ধরা হয়।
এই উৎসবের আয়োজন করতে পেরে গর্বিত সংস্কৃতি মন্ত্রক। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের লক্ষ্যকে তুলে ধরা হয়েছে উৎসবে। দেশের সাংস্কৃতিক ঐক্যকে তুলে ধরা হয়েছে উৎসবে।
চারদিন ধরে এই উৎসব চলেছে। চতুর্থ তথা শেষ দিনে একাধিক অনুষ্ঠান হয়। চতুর্থদিনের সন্ধ্যায় কর্তব্যপথে অনুষ্ঠানের শুরু হয় কেরলের বিখ্যাত পেরুমানুর নেরারিভু গ্রুপের লোক সঙ্গীত দিয়ে।
বিখ্যাত সরোদ বাদক ওস্তাদ আমজাদ আলি খান, আমন আলি বঙ্গশ এবং আয়ান আলি বঙ্গশ তাঁদের সুরের জাদুতে শ্রোতাদের মোহিত করেছেন। কর্তব্যপথে অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে তামিলনাড়ুর বিখ্যাত ভরতনাট্যম শিল্পী মীনাক্ষী শ্রীনিবাসনের নাচের ছন্দে মুগ্ধ হন দর্শকরা।
অন্যদিকে, উৎসবের শেষ দিনে সিসিআরটি দ্বারকাতেও নান অনুষ্ঠান হয়। শুরুতেই কত্থক নাচ। ছিল দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত। এছাড়াও একাধিক শিল্পীর অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানের সাফল্যে গর্বিত আয়োজকরা। এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের ছবি তুলে ধরা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক, উৎসবে অংশগ্রহণকারী সব শিল্পীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।