হায়দরাবাদ: মদ মাফিয়া এবং আম আদমি পার্টির মধ্যে মধ্যস্থতার কাজ করতেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর কন্যা তথা তেলঙ্গানার বিধান পরিষদের সদস্য কে কবিতা। বিজেপির পক্ষ থেকে সোমবারই এই অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন কবিতা। তাঁর দাবি, দিল্লির নয়া আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সংযোগই নেই। বিজেপির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বলেছেন, “বিজেপি এবং তাদের নেতাদের পক্ষ থেকে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। তাদের হাতে সমস্ত সংস্থা রয়েছে। তারা যে কোনও তদন্ত করতে পারে। আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব।”
তিনি আরও দাবি করেছেন, কেসিআর গত কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানিয়েছেন। কেসিআই-এর সমালোচনার মুখে পড়ে বিজেপি কেঁপে গিয়েছে। আর তাই তাঁর পরিবারের বদনাম করতে উঠে-পড়ে লেগেছে তারা। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেছেন, “আপনারা ভুল লোকের সঙ্গে ঝামেলা করছেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বিজেপির দিল্লির দুই নেতা, পরবেশ ভার্মা এবং মনজিন্দর সিরসার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবে তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি দল। অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়েও আদালতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন কেসিআর কন্যা।
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দুই বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, কে কবিতার সঙ্গে বেশ কয়েকরটি বৈঠক করেছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। পরবেশ ভার্মা এবং মনজিন্দর সিরসা দাবি করেছেন, কে কবিতার মাধ্যমেই মদ মাফিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল সিসোদিয়ার। তাঁদের মতে দিল্লির ওবেরয় হোটেলে এই বৈঠকগুলি হয়েছিল। মণীশ সিসোদিয়া, কে কবিতা, বেশ কয়েকজন মদ মাফিয়া এবং আরও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই বৈঠকগুলিতে অংশ নিয়েছিলেন। মদ মাফিয়াদের ওই বৈঠকগুলিতে এনেছিলেন কে কবিতাই, এমনটাই দাবি বিজেপির।
বিজেপির আরও অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মণীশ সিসোদিয়াকে ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছিল মদ মাফিয়ারা। এরপরই দিল্লির নয়া আবগারি নীতির অধীনে কমিশনের পরিমাণ ২.৫ শতাংশ থেকে এক লাফে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। এই বিষয়ে দিল্রির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং আবগারি মন্ত্রী তথা উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার ব্যাখ্যা চেয়েছে বিজেপি। কে কবিতা এবং মদ মাফিয়াদের সঙ্গে মণীশ সিসোদিয়ার সম্পর্কের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।